সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষক হলেন ২৩৩ জন

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২ | ০৭:৫১ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২২ | ০৮:২৯
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ২৩৩ জনকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে ২০ জনকে জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত করা হলো। এই আদেশে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের দেশের বিভিন্ন স্থানে পদায়ন করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জানা যায়, সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি বিদ্যালয় আছে ৩৫২টি। অবশ্য নতুন জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়সহ এ সংখ্যা ৬৮৩। পুরোনো ৩৫২টি সরকারি স্কুলের অধিকাংশই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছিল। এ অচলাবস্থা দূর করতেই বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এর আগে সরকার ফিডারপদ পূর্ণ না হওয়ায় এ পদে নিয়োগ দিতে পারেনি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হতে হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঁচ বছর কর্মরত থাকার বিধান আছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এমন অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন না থাকায় এতোদিন পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার যে নিয়ম ছিল তা দুই বছর কমিয়ে প্রমার্জন করে পদোন্নতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন সরকারি মাধ্যমিক চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ওপর ভর করে। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ১৮টি জেলায় ছিল না কোনো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
একাধিক শিক্ষক বলেন, পদোন্নতি পেতে পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা লাগে। এটি শিথিল করতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে রাষ্ট্রপতির দফতর হয়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতা প্রমার্জন করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত সহকারী প্রধান শিক্ষকদের তিন বছর চাকরি সম্পন্ন হয়েছে এই পদে। তাদেরই পদোন্নতি দেওয়া হলো।
পদোন্নতি পাওয়াদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।