পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যান

ছবি: সংগৃহীত
রাকিব হাসান
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২ | ০৪:০৩ | আপডেট: ২১ জুন ২০২২ | ০৭:০২
মহাকর্মযজ্ঞ শেষে পদ্মা নদীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই সেতু তৈরিতে যতগুলো কঠিন কাজ ছিল তার মধ্যে অন্যতম বিশালাকারের স্প্যান তৈরি এবং তা সেতুর পিলারের ওপর বসানো। সেতুতে মোট স্প্যান ৪১টি এবং প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল আটটার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ১৫০ মিটার দীর্ঘ ৩ হাজার ২০০ টন ওজনের প্রথম স্প্যান ‘৭-এ’ বসানো হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর বসে ‘৭-বি’ স্প্যানটি। এতে ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। তারপর ২০১৮ সালের ১১ মার্চ ‘৭-সি’ নম্বর স্প্যানটি বসে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর। এতে সেতুর দৃশ্যমান হয় ৪৫০ মিটার।
এভাবে ধাপে ধাপে স্প্যান বসানোর কাজ চলতে থাকে। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়। মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর ‘১-এ’ নামের স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্যদিয়ে সেতুর ৫৭০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। অবশ্য খুঁটির চেয়ে ১ নম্বর পিলারের গঠন সম্পূর্ণ আলাদা। ওই খুঁটিতে ১৬টি পাইল স্থাপন করা হয়। অন্যান্য স্থাপন করা পিলারে ৬-৭টি পাইল। ১ নম্বর খুঁটির ওপর দিয়েই মাওয়াপ্রান্ত দিয়ে সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে। এরপর ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর ৩৯তম স্প্যান ‘২-ডি’, এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার।
এরপর ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর বসে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৬ হাজার মিটার (৬ কি. মি)। সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান ‘২-এফ’ বসে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর পুরো ৬ হাজার ১৫০ মিটার।
- বিষয় :
- পদ্মা সেতু
- স্প্যান
- স্প্যান বসানো