ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দুপুরের সিল্ক সিটি ছেড়ে গেল সন্ধ্যায়

দুপুরের সিল্ক সিটি ছেড়ে গেল সন্ধ্যায়

কমলাপুর রেলস্টেশনে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছেন ঘরমুখী মানুষ। ছবি- সমকাল।

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২২ | ০৭:৩৫ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২২ | ০৭:৪৬

পোশাকশ্রমিক রাফিউল আলম। গত ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। এবার অনেক দিন পর রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরছেন ঈদ করতে। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রাজশাহী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাবে। সেই ট্রেনের টিকিট হাতে রাফিউল যখন মিরপুর থেকে তাড়াহুড়ো করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ছুটে কমলাপুর পৌঁছালেন তখন বিকেল ৩টা। বিশ মিনিট বিলম্বে আসা রাফিউল অবশ্য ট্রেন মিস করেননি। বরং দিয়েছেন চরম ধৈর্যের পরীক্ষা। প্রায় ৪ ঘণ্টা বিলম্বে সিল্ক সিটি ট্রেনটি অবশেষে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে সন্ধ্যা ৬টায়। 

আজ সন্ধ্যায় রাফিউল সমকালকে বলেন, উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছে। ট্রেন বিলম্বে ছাড়ায় বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নারী ও শিশুরা। 

রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কিছু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। যাত্রীর চাপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিমশিম খেয়েছেন। নিষেধ অমান্য করেই উঠে বসছেন ট্রেনের ছাদে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহী কমিউটার ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বিকেল ৪টার। যদিও ট্রেনটি যাত্রার সময় ছিল দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে। নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু বিকেল সাড়ে ৪টার পর। 

কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রীকে। ভ্যাপসা গরম ভোগান্তি বাড়িয়েছে তাদের। 

কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই নিরাপত্তার খাতিরে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×