'বেসিকের টাকা কোথায় গেছে সে তথ্য মেলেনি'

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:১২
বেসিক ব্যাংকের আত্মসাৎ হওয়া টাকা কোথায়, কার কাছে আছে, সেই তথ্য খুঁজে বের করতে পারেননি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তারা। এই তথ্য ও প্রমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে নির্দিষ্ট করে দোষী সাব্যস্ত করা যাচ্ছে না। তাই ব্যাংকটির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দেরির দায়ভার কমিশনের চেয়ারম্যানের নয়।
মঙ্গলবার দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত্ সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। তিনি এও বলে, 'এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের প্রশ্ন কেন আসছে বুঝতে পারছি না।'
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বেসিক ব্যাংকের মামলা ও চার্জশিট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি বলেছিলেন, দুদকের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। তার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুদক সচিব তদন্ত দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত দুই মেয়াদে ছয় বছর রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে সেখানে জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট হয় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। দুদক ২০১৫ সালের ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৬টি মামলা করে। দীর্ঘ চার বছরেও এই ৫৬ মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস. কে. সিনহা মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করার জন্য দুদকের প্রতি তাগিদ দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদক সচিব দিলোয়ার বখত্ সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংকের আত্মসাৎকৃত সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে বেশিরভাগ টাকাই নগদে তোলা হয়েছে। টাকাগুলো কোথায় ব্যবহার কিংবা জমা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা সে তথ্য বের করতে পারেননি। এসব অর্থ কোন জায়গায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় সম্পদ হিসেবে কনভার্ট করা হয়েছে, তদন্তে সেগুলোর প্রমাণ পাওয়ার পর এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যাবে। তাদের চার্জশিটভুক্ত করা হবে।
সচিব বলেন, এই টাকাটা চেকে নিয়ে উত্তোলনের পর যদি তা ব্যাংকে রাখা হতো, তা হলে টাকার গন্তব্য পাওয়া যেত। এ ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। টাকা নিয়ে একেকজন একেক কাজে ব্যবহার করেছে। মানি লন্ডারিং হয়েছে। এমন টাকার সর্বশেষ গন্তব্য খুঁজতে গিয়ে অনেক সময় দেরি হয়ে থাকে।
- বিষয় :
- বেসিক ব্যাংক
- দুদক