ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সম্মেলন ও সেমিনার

রপ্তানিমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে জোর

রপ্তানিমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে জোর

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:৫৪ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:৫৪

কৃষি উন্নয়নে সরকারি সহযোগিতা ও কৃষিবান্ধব নীতির কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় ক্রমান্বয়ে বৃহৎ কৃষি ব্যবস্থায় যেতে হবে। দেশের কৃষি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে রপ্তানিমুখী কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কৃষিতে যেতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে সোমবার বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৭তম জাতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে, সেদিকে সবাইকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, রপ্তানিমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির প্রতি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে ধান, সবজি, মসলাসহ যেসব পণ্য উৎপাদন হয় তা প্রক্রিয়াজাতে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। এ সময় স্পিকার টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃষির জন্য কী কী করণীয়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে কৃষি অর্থনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে এগিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। কৃষিপণ্যে প্রণোদনা, ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত করেছেন। ধানসহ অনেক কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অনেক ভালো অবস্থান দখল করে আছে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিতে সমৃদ্ধি আনতে হবে।

নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের খবর নতুন নয়। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কথাও সবার জানা। তাই কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সেমিনারেও এ বিষয়টি বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কথাও বলেছেন বক্তারা।

সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমার এলাকা নওগাঁ থেকে ১৩ টাকা কেজি পটোল কিনে নিয়ে এসেছি। কিন্তু ঢাকায় পটোল ৬০ টাকা কেজি। এটা কীভাবে হলো বুঝতে পারছি না। তাই আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রযুক্তিগত কৃষিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমাদের ক্রমান্বয়ে বৃহৎ কৃষি ব্যবস্থায় যেতে হবে। এটাই শেষ পথ। অন্যান্য পণ্যের মতো কৃষিপণ্যে সিন্ডিকেট হওয়ার সুযোগ কম- এমন দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থায় কম মনোযোগ আছে। এটা আমাদের বাড়াতে হবে। সিন্ডিকেট কোথায় হচ্ছে, কীভাবে এটা নিষ্পত্তি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক মো. মেসবাহুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। বক্তব্য দেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মো. মিজানুল হক কাজল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির পক্ষ থেকে তিন বরেণ্য কৃষিবিদকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন- ড. মো. আবুল কাশেম, ড. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

আরও পড়ুন

×