রেজিস্ট্রার ভবন আধুনিকায়নের দাবিতে ফের অবস্থানে ঢাবি শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:৪৭ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:৪৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে (রেজিস্ট্রার ভবন) হয়রানি, কর্মকর্তাদের অশালীন আচরণ বন্ধ ও কার্যক্রম আধুনিকায়নসহ ৮ দফা দাবির 'দৃশ্যমান' অগ্রগতি না হওয়ায় ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে তিনি এ কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর ড. সউদ আহমেদ তাঁকে শাসিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আবুল হাসনাত।
অভিযোগের বিষয়ে ড. সউদ আহমেদ সমকালকে বলেন, তাকে শাসানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি তার কাছে জানতে চেয়েছি যে, সে আলোচনা করতে চায় কিনা। সে বলেছে, করতে চায়। এটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়ে ১০ দিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
রোববারের কর্মসূচি পালনকালে রেজিস্ট্রার ভবনের সেবা নিয়ে একটি জরিপ তুলে ধরেন হাসনাত। ওই জরিপে ৭০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। ফলাফলে দেখা যায়, ৮৯ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রার ভবনের সেবার অভিজ্ঞতা 'ভয়াবহ ও অপ্রত্যাশিত'। সর্বোচ্চসংখ্যক হয়রানি হয় ক্রমানুযায়ী ভর্তি শাখায়, বৃত্তি শাখায়, মার্কশিট শাখায় ও ট্রান্সক্রিপ্ট শাখায়। ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত হলো, প্রশাসনিক ভবনে ঘুষ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির চর্চা হয়।
চারশর বেশি শিক্ষার্থীকে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে 'লাঞ্চের পরে আসুন', 'এটি এই রুমের কাজ না', 'কাগজ এখনও হল থেকে আসেনি'- এমন ধরনের অজুহাত শুনতে হয়েছে।
হাসনাতের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রশাসনিক কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটাইজড করা, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন, সব অফিস কক্ষে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিকবিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা প্রভৃতি।