ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধায় উপনির্বাচনে অনিয়মে জড়িতরা চাকরি হারাতে পারেন: ইসি আলমগীর

গাইবান্ধায় উপনির্বাচনে অনিয়মে জড়িতরা চাকরি হারাতে পারেন: ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি- সংগৃহীত।

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২ | ০৮:৫৩ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ | ০৯:০৬

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, উপ-নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তার সংখ্যা যতই হোক, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইসি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা ইসির দায়িত্ব। নির্বাচন যতক্ষণ সুষ্ঠু হবে না, ততক্ষণ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তাঁরা নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সেখানে দেখা গেছে, অনেক কেন্দ্রে ভোটের গোপন কক্ষে ভোটার আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বাটন চেপে দিচ্ছেন। এটি দেখে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। অপরাধীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার নির্দেশও মানা হয়নি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন, এমনটিও কমিশন দেখেনি। তাই আইন অনুযায়ী যা করা উচিত ইসি সেটা করেছে।

ওইসব অনিয়মের ঘটনার তদন্ত চলছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা কী স্বেচ্ছায় এসব অনিয়ম করেছেন, নাকি কোনো চাপে পড়ে করেছেন, নাকি সহযোগিতা চেয়েও পাননি; এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় স্বেচ্ছায় এমনটি করেছেন, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকলেও কেউ সে সুযোগ নেননি তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ইসি তাদের দুই মাস পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারে। অপরাধী কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা বাস্তবায়ন করে ইসিকে জানাতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে- এমন বক্তব্য সাদা কাগজে লিখিত দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। তবে তারা এমনটা আসলে করেছেন কি না, ইসি জানে না। ইসি বা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এই ধরনের কিছু দেওয়া হয়নি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কিছু লিখতে হলে নির্দিষ্ট ফরমে দিতে হয়। যদি তদন্তে প্রমাণ হয়, এ ধরনের কাজ তাঁরা করেছেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। আরেক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ব্যালট এবং ইভিএম দুই ক্ষেত্রেই ভোট ডাকাতি সম্ভব। তবে ব্যালটে ১০ মিনিটেই সিল দিয়ে ৪০০ ভোট দেওয়া সম্ভব। ইভিএমে এই সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন

×