ঢাবি প্রক্টরের অপসারণের দাবি তোলা শিক্ষকের ব্যক্তিগত নথি তল্লাশির অভিযোগ

মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ১৩:০১ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ১৩:০১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কক্ষে গিয়ে ফাইল তল্লাশি করে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে।
প্রক্টর ড. এ কে এ ম গোলাম রব্বানীর নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। এ অভিযোগে বুধবার দুপুরে প্রক্টরের বিরুদ্ধে 'নিন্দা' জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার উপাচার্যকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে প্রক্টর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তার অপসারণ দাবি জানান তানজীমউদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ছয় শিক্ষক।অধ্যাপক তানজীমউদ্দিনের অভিযোগ, প্রক্টরের অপসারণের দাবি তোলার পর সোমবার বিকেলে প্রক্টর কার্যালয়ের দুজন কর্মচারী বিভাগে গিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যান। একই দিন সন্ধ্যায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি সমকালকে বলেন, আমার যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আছে। কোনো তথ্য দরকার হলে রেজিস্ট্রার ভবনই যথেষ্ট। তারপরও কেন আমার ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য বিভাগে লোক পাঠানো হলো? একই দিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে একজন আমার স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে বলেন, তিনি আমার ব্যাপারে ভেরিফিকেশনের জন্য গিয়েছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, তিনি পরিকল্পিত শব্দ সন্ত্রাস করছেন। এটিকে ইস্যু করে সস্তা জনপ্রিয়তা ও সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে আমি আমার কর্মকর্তাকে বিভাগে যেতে বলিনি এবং বিষয়টি শোনার পর তাকে চলে আসতে বলেছি।
এদিকে প্রক্টরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রকাশনা ও গবেষণা মেলা থেকে নিজের সকল প্রকাশনা ও গবেষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
তিনি বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একজন অধ্যাপককে শব্দ সন্ত্রাস বলেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার গবেষণা কাজ, সম্পাদিত বই খুবই বেমানান। আমি বিভাগ থেকে সমস্ত প্রকাশনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো টেবিলে বসলে সমাধান হয়ে যায়। এসব বিষয় জাতীয় বিষয়ে রূপান্তর করা কোনো ভালো জিনিস নয়। অধ্যাপক এসেছিলেন। আমি বলেছি, উদ্বিগের কারণ নেই। কোথাও কৌশলগত ভুল হতে পারে।