জাপানের রাষ্ট্রদূতকে দুষ্ট লোক ভুল তথ্য দিয়েছে, দাবি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২২ | ০৯:৫৮ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ | ০৯:৫৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে- ঢাকার জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তাকে কোনো দুষ্ট লোক ভুল তথ্য দিয়েছে। তিনি সাদাসিধে মানুষ। তিনি বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। এটি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়েছে। এ সফরের জন্য টোকিও প্রস্তুত রয়েছে। সফর স্থগিত করার পেছনে জাপানের অভ্যন্তরীণ নানা কারণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা ও করোনার প্রকোপ বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়েছে। সরকার একাধিক কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তিনি আরোও বলেন, জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন। এ দাওয়াতটা আমরা দুই বছর আগে পেয়েছিলাম। কিন্তু কভিডের কারণে যাওয়া যায়নি। এবার সব চূড়ান্ত হলো। আমরা এবার যেতে চেয়েছিলাম। জাপান বারবার অনুরোধও করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি জাপান সরকারের মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পর পর তিনজন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
ড. মোমেন বলেন, এর মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি, জাপানের সংসদে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব আসবে। তিনি খুব ব্যস্ত আছেন। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে কভিড। জাপানে এখনও কভিডের জন্য কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। তারা ১০ জনের মতো সফরসঙ্গীকে করোনার বিধিনিষেধের বাইরে রাখার অনুমতি দেবে। আমরা তো বিশাল দল যাব। ব্যবসায়ীরা অনেকে যাবেন। আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে যেতে চাই, যেন আমাদের দেশে বিনিয়োগ বাড়ে। আগামী বছর আমরা অবশ্যই জাপানে যাব।
জাপানের কাছে বাংলাদেশের বাজেট ঋণ চাওয়া নিয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, এসব আমি জানি না। এগুলো আপনারই জানেন। আমাদের কোনো (সহায়তা) প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
গণমাধ্যমকে দোষারোপ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা মাঝে মধ্যে উল্টাপাল্টা বলেন, আমাদের রিজার্ভ নেই। আমি তাজ্জব হই। আগে আমাদের তিন থেকে চার বিলিয়ন রিজার্ভ হলে আপনারা খুশিতে থাকতেন। আর এখন ৩৪ থেকে ৩৭ বিলিয়ন রিজার্ভ, তার পরও আপনারা এসব বলেন। এগুলো পাগলের প্রলাপ না হয় তো কী!
স্লিপ অ্যাপনিয়া বিষয়ে ওই কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম বলছে ব্যাংকে টাকা নেই। অথচ আমাদের ট্রিলিয়ন টাকা ব্যাংকে রয়েছে। আপনারা বিভিন্ন রকমের প্রপোগান্ডা করেন, ব্যাংকে টাকা নেই। বাড়িতে টাকা নিয়ে রাখেন, তখন চুরি করতে পারবে।
