ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

যুক্তির আলোয় মুক্তির দিশা

যুক্তির আলোয় মুক্তির দিশা

রাজধানীর পান্থপথে এনআইএসটি মিলনায়তনে শনিবার বিএফএফ-সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসবে অতিথিদের সঙ্গে বিতার্কিকরা - সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২:০০

প্রশ্ন করার মধ্য দিয়ে মানুষের চিন্তাশক্তি বাড়ে। প্রশ্নের মাধ্যমেই সমাধান হয় বড় বড় সমস্যার। গাছ থেকে আপেল নিচে কেন পড়ল? ওপরের দিকে কেন গেল না? বিজ্ঞানী নিউটন এ প্রশ্ন না করলে হয়তো আবিস্কার হতো না মাধ্যাকর্ষণ শক্তির। আবার আমাদের ভাবনার বিপরীতেও আরও ভাবনা আছে। সেই ভাবনার সম্মিলন হয় যুক্তিনির্ভর সুস্থ বিতর্কের মধ্য দিয়ে। এই যুক্তিগুলো যাচাই করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সহজ হয়। বিতর্ক ও যুক্তির মাধ্যমে দূর হয় সমাজের অমানিশা; মেলে মুক্তির দিশা।

এ লক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাজধানীর পান্থপথে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'বিএফএফ-সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব ২০২২'-এর চূড়ান্ত পর্ব। 'বিতর্ক মানেই যুক্তি, বিজ্ঞানে মুক্তি'- এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে উৎসবের আয়োজন করে 'সমকাল সুহৃদ সমাবেশ'। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল 'পূবালী ব্যাংক লিমিটেড'।

প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব উদ্বোধন করেন সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের (বিএফএফ) নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, সাবেক বিতার্কিক মাজেদ আজাদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু সাঈদ খান বলেন, প্রশ্ন করার মধ্য দিয়ে একজন মানুষের মাথা খোলে এবং বুদ্ধি খেলা করে। যে প্রশ্ন করে না, তার মাথা খোলে না। সে জীবন্মৃত হয়ে যায়। আমরা যা ভাবি, তার বিপরীতেও ভাবনা আছে। সেটি যাচাই করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মুক্ত ও বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের প্রশ্ন করা প্রয়োজন, বিতর্ক প্রয়োজন। এই বিতর্কের মাধমে সমাজের অন্ধকার দূর হবে। এর জন্য আমাদের উত্তরোত্তর বিতর্কের আয়োজন করা দরকার।

অধ্যাপক ফায়েজ হোসেন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন চারদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার ছিল। তখন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ ছিল বিজ্ঞান। কিন্তু যখন শিক্ষক হলাম, তখন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী কম ছিল। বর্তমানে আবার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষার দিকে ঝুঁঁকছে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থ স্ট্ক্রিপ্ট থেকে বিরত থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিত যুক্তি দিয়ে প্রাণবন্ত কথা বলতে হবে। এ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।

চূড়ান্ত পর্বে সারাদেশ থেকে ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খুলনা জিলা স্কুল, ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, সাভারের সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজবাড়ি ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুরের বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিনাজপুরের সারশ্বেরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী জিলা স্কুল ও কুমিল্লা জিলা স্কুল। এর মধ্যে চূড়ান্ত আসরের ফাইনালে উঠেছে নোয়াখালী জিলা স্কুল ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুল।

পান্থপথে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে আজ সকাল ১১টায় চূড়ান্ত পর্বের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, পূবালী ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আলী এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করবেন বিএফএফ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আরও পড়ুন

×