ঈদের আগেই জবি শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবি

জবি শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ফাইল ছবি
জবি প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩ | ১৪:৪২ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ | ১৪:৪২
ঈদুল আযহার আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে ৩০টি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। সরকারবিরোধী লাইভ অনুষ্ঠান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বুধবার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। ‘প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সম্পাদক কংকন নাগ। বিবৃতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয় একে ‘গণবিরোধী ও নিপীড়নমূলক’ বলে বর্ণনা করা হয়। একই সঙ্গে এই আইনে গ্রেপ্তার হওয়া সকলের মুক্তির দাবি জানায় এই ৩০ সংগঠন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। কিন্তু তাঁকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলা করে পুলিশ। গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। রাষ্ট্র কোনোভাবেই এমন নিবর্তনমূলক আইনের প্রয়োগ করে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দিতে পারে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংবিধানের মৌলিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আইনের মাধ্যমে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। গণমাধ্যম, শিক্ষক, ছাত্র, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এই আইনকে বিরোধীমত দমনের অন্যতম হাতিয়ার বানানো হয়েছে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে এ ধরনের নিবর্তনমূলক আইন কখনোই বলবৎ থাকতে পারে না। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব নিবর্তনমূলক আইন বাতিল করতে হবে।
বিবৃতি প্রদানকারী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণসংস্কৃতি কেন্দ্র, সংহতি সংস্কৃতি সংসদ, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, রাজু বিতর্ক অঙ্গন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, প্রগতি লেখক সংঘ, গণসংস্কৃতি পরিষদ, স্বদেশ চিন্তা সংঘ, বাংলাদেশ থিয়েটার, তীরন্দাজ, রণেশ দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র সংসদ, এই বাঙলায়, ঢাকা ড্রামা, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠী-সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন, ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন, থিয়েটার’ ৫২, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদ, শহীদ আসাদ পরিষদ, মাদল, বটতলা-এ পারফরমেন্স স্পেস ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।