সেমিনারে বক্তারা
সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা জরুরি

ছবি-সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩ | ১৪:৩০ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ | ১৪:৩২
দেশে ধর্মের ভিত্তিতে এখনও বিভাজন এবং পুরুষতান্ত্রিক বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে সহিংসতা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জনমত গড়ে তোলা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে যুবসমাজ।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জেন্ডার সমতা এবং সমনাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক ও ইহজাগতিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত দেন বক্তারা।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে) ও পিস ক্যাফে যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের একাডেমিক অ্যান্ড লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্টের পরিচালক শাহরিয়ার সাদাত, অর্থনীতি ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেউতি সবুর, পিস ক্যাফের সভাপতি তাহমিনা হাবিবা, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট লাইফের যুগ্ম পরিচালক তাহসিনা রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘নারী-পুরুষে ভেদাভেদ তৈরি করেছে সমাজ ও সংস্কৃতি। সমানে সমান মানে সমতা নয়। সমতা মানে যাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন মানে স্বাধীনতা।’
শাহরিয়ার সাদাত বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল ভোটের অধিকার নয়। গণতন্ত্র হলো রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের প্রক্রিয়া। আর এ জবাবদিহি আদায়ে নাগরিকদের দায়বদ্ধতা বেশি। লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার সবার অন্তরে ধারণ করতে হবে।’
সেউতি সবুর বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাছ থেকে অধিকার আদায় করে নেওয়া নাগরিকের দায়িত্ব। নারী-পুরুষ, ট্রান্সজেন্ডারসহ সবার জন্য সমতাভিত্তিক পরিবেশ তৈরি করাই লৈঙ্গিক সমতার মূলকথা। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন এবং নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’
সভা প্রধানের বক্তব্যে বিএনপিএস পরিচালক শাহনাজ বেগম সুমি বলেন, ‘সমাজের বেশিরভাগ মানুষ গণতন্ত্র বলতে ভোটের অধিকারকে বোঝেন। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫০ ভাগ নারী। কিন্তু তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোথায়? সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোথায়? সংবিধান রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সমান মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্র কোনোভাবেই কারও প্রতি বৈষম্য করতে পারবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রের মাধ্যমেই এসব হচ্ছে।’