মামলা জটের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির যুদ্ধ ঘোষণা

ঢাকা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতি। ছবি-সমকাল
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৩ | ১৪:৪৪ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ | ১৪:৪৯
মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই ইতিহাস সবাই জানেন। আমরা যদি এভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি, তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না।
বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে একটি হচ্ছে বিচারবিভাগ। এটি একটি শক্তিশালী বিভাগ। আমরা যারা এই বিভাগে আছি বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী এবং বিচারিক আদালতের কর্মকর্তা- কর্মচারী, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে এ দেশের মানুষের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, আদালতে অনেক মামলা জমেছে। এর জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, যে বিচারিক সেবা পেতে এই দেশের মানুষের যে হক রয়েছে, সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। আমরা যদি একটি ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হব। এই জয়টা আমরা পরিশ্রম করে করতে চাই।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি এখন যত মামলা ফাইল হচ্ছে তার থেকে যাতে বেশি নিষ্পত্তি হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ১২০টি মামলা দাখিল হলে ১২৫টি যেন নিষ্পত্তি হয় তাহলে ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে মামলাজট কমে আসবে। আদালতের বারান্দায় বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের আর ঘুরতে হবে না। আর এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য, যারা এখানে বিচার পেতে আসেন তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসময় প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে এম তোফায়েল হাসান এবং প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুল ইসলাম।