ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

হা-মীম গ্রুপ-সমকাল শিক্ষাবৃত্তি

সেবার মাধ্যমে ঋণ শোধে ছয় শিক্ষার্থীর প্রত্যয়

সেবার মাধ্যমে ঋণ শোধে ছয় শিক্ষার্থীর প্রত্যয়

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:৫১ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:৫১

‘গাছের বেড়ে উঠতে যত্ন লাগে। মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলাম। শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন করতে পাশে দাঁড়িয়েছে হা-মীম গ্রুপ ও সমকাল। এ শিক্ষাবৃত্তি সাহস জুগিয়েছে। আমার চেম্বার থেকে কোনো দরিদ্র ও অসহায় রোগী ফেরত যাবে না। সেবার মাধ্যমে সমাজের এ ঋণ শোধের চেষ্টা করব।’

শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমকাল কার্যালয়ে ‘হা-মীম গ্রুপ-সমকাল শিক্ষাবৃত্তি’র অর্থ গ্রহণ করে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান শিশির।

এদিন তাঁর মতো মেডিকেলের পাঁচ ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বৃত্তির অর্থ গ্রহণ করে একই অনুভূতি জানান। বৃত্তি পাওয়া অন্যরা হলেন– মেডিকেলের শিক্ষার্থী সাব্বির ইবনে রফিক, মো. অসীম মোল্যা, হাফেজা তাবিয়া জামাল তিথি, লামিসা নাজনীন, প্রিয়া সরকার এবং আইনের শিক্ষার্থী পিনাকি সরকার। মাসে ৫ হাজার টাকা করে এক বছর বৃত্তি পাবেন তারা। সঠিকভাবে শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিলে আগামী পাঁচ বছর এ বৃত্তি পাবেন।

অনুষ্ঠানে বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. গোলাম সোবহানী চৌধুরী (রানা চৌধুরী) বলেন, ‘আমার ছাত্র হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ। তার ব্যবসায়ীর চেয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বকে (সাবেক সভাপতি) আমার কাছে বেশি গৌরবের। সে উচ্চশিক্ষার জন্য গরিব ও মেধাবীদের বৃত্তি দেয়। আজকে যারা বৃত্তি পেল, কর্মজীবনে তারা মানবিক মানুষ হয়ে দেশসেবা করবে আশা করছি।’

হা-মীম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, ‘হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কুল, মাদ্রাসা ও হাসপাতাল করেছেন। ব্যক্তি উদ্যোগে দীর্ঘদিন বৃত্তি দিলেও এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করলেন। এ. কে. আজাদ ট্রাস্ট হয়েছে। এর মাধ্যমে আরও অসংখ্য মানুষ সহায়তা পাবে।’

সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রথম বছরের ফলের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা আগামী পাঁচ বছর হা-মীম গ্রুপ-সমকাল শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।

সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, ‘এ দেশে মেধাবী হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় আছে। হা-মীম গ্রুপ-সমকাল ছয় শিক্ষার্থীকে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। এসব শিক্ষার্থী একদিন চিকিৎসক কিংবা আইন পেশায় গেলে তাদের ওপর সামাজিক দায় থাকবে। আমি চাইব, তাদের চেম্বার থেকে যেন একজন দরিদ্র ব্যক্তিও সেবা ছাড়া ফিরে না যায়।’

অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হাফেজা তাবিয়া জামাল তিথির বাবা জামাল হোসেন অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে মাত্র তিন মাস ১০ দিনে হাফেজ হয়। পরে এসএসসি-এইচএসসিতে ভালো ফল করে মেডিকেলে সুযোগ পায়। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়ি। বৃত্তি তার পড়াশোনায় অনেক সহযোগিতা করবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সমকালের সহকারী সম্পাদক হাসান জাকির, সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান, ফরিদপুর সুহৃদ সমাবেশের হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×