ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আলোচনা সভায় বক্তারা

দেশে ৬৫ লাখ দলিত মানুষ বৈষম্যের শিকার

দেশে ৬৫ লাখ দলিত মানুষ বৈষম্যের শিকার

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯ | ০৯:৩৩

জাতপাত ও পেশাগত পরিচয়ের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ লাখ দলিত মানুষ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হন। যার প্রায় অর্ধেকই নারী।

দলিত নারীর উন্নয়নে বড় বাধা তাদের পরিবার। বিশিষ্টজনরা বলেছেন, এই বাধা দূর করে প্রয়োজন সচেতনতা ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন। দলিত পিতামাতারা তাদের সন্তানদের বাল্যবিয়ে না দিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার আহ্বান জানান তারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেনস ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। 'আমাদের সংগ্রাম- আমাদের মর্যাদা, আমাদের মুক্তি, দলিত নারী সম্মিলন ও মিলন মেলা-২০১৯' শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ দলিত নারী ফেডারেশন ও দলিত নারী ফোরাম। এর আগে আসাদ গেট থেকে ধানমন্ডি পর্যন্ত র‌্যালি বের করা হয়।

দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত। বক্তব্য দেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মো. আলমগীর হোসেন, গবেষক ও নৃ-বিজ্ঞানী রাবেয়া রওশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহানা আহমেদ, শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি পরিচালক রাবেয়া বেগম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) উপপরিচালক (অ্যাডভোকেসি) মাহবুবা আখতার, সাংবাদিক ইয়াসমিন পিউ প্রমুখ।

অ্যারমা দত্ত বলেন, বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের বিষয়ে আবেদন জানালে তিনি অবশ্যই সাড়া দেবেন।

অন্য বক্তারা বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশে দলিত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের বিষয়টি সেভাবে আলোচিত না হলেও বর্তমানে তাদের উন্নয়নে সরকার এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মে ৮০ শতাংশ কোটা বরাদ্দসহ তাদের আবাসন, শিক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

সভায় মূল বক্তব্যে দলিত নারী ফোরামের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তামান্না সিং বাড়াইক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও দলিত ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তবে অধিকার আদায়ে দলিত নারীরা বর্তমানে সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেছেন। সরকারের পাশাপাশি তারা নিজ উদ্যোগে তাদের এলাকার দলিত নারীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

×