রাজধানীতে নির্মল বায়ু নিয়ে জাতীয় সংলাপ
বায়ুমান উন্নয়নে ৩ মেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

গতকাল বৃহস্পতিবার ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করণ : প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অতিথিরা। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:৫৯ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:০১
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বায়ু দূষণ রোধে এখনই কার্যকর ভূমিকা না নেওয়া গেলে ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তন আরও বেড়ে যাবে। এ থেকে মুক্তি পেতে বায়ু মান উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করণ : প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন। সংলাপ আয়োজন করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে যেমন জিরো টলারেন্স, তেমনি বায়ু দূষণের ক্ষেত্রেও একইভাবে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমাদের চলতে হবে। বায়ুদূষণ বিধিমালায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৩টি মন্ত্রণালয় ও ৩৫টি সংস্থা আছে। তারা যথাসময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন না করায় চাপটা এক তরপাভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের দিকে চলে আসে।
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমরা অঘোষিত জরুরি অবস্থায় আছি। আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ শহরও বিশ্বমানের চেয়ে ৯ গুন দূষিত। আমাদের এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হবে। আমি এ নিয়ে লড়তে প্রস্তুত।
সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, বায়ুমান শুধু স্বাস্থ্যের বিষয় না। এটা আমাদের জীবনের বিষয়। বাতাস ছাড়া আমরা এক সেকেন্ডও বাঁচবো না। এটি এখন আর আগাম ব্যবস্থা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রনালয় বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, কেউ অস্ত্র নিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসলে, ব্রাশ ফায়ার করতে চাইলে এটা আমি তাৎক্ষণিক দেখতে পাই। কিন্তু এই বায়ু দূষণ যে কীভাবে নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করছে এটা আমরা বুঝতেই পারছি না।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বায়ুমান উন্নয়ন না করলে ভবিষ্যতে আমাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কয়েক গুন বেড়ে যাবে। বায়ুমান উন্নয়নে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, আমাদের বড় দুর্বলতা হলো, মন্ত্রণালয়গুলোতে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে যেই কমিটি রয়েছে সেটি সচল করা গেলে দূষণের বিষয়ে কিছু তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকীর সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সুইডেন দূতাবাস বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ফাস্ট সেক্রেটারি ড্যানিয়েল নোভাক, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন প্রমুখ।
- বিষয় :
- বায়ু দূষণ
- জলবায়ু
- ক্যাপস
- দূষণ