খালেদা জিয়ার মুক্তি ফের আলোচনায়

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ১৩:৪৯ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ২১:১২
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন? হঠাৎ
দলীয় সংসদ সদস্যদের দৌড়ঝাঁপের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে কয়েকটি প্রশ্ন। তিনি মুক্তি পেলে সেটি হবে কোন
প্রক্রিয়ায়। আদালতের জামিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাকি প্যারোলে? নাকি সরকারি
নির্বাহী আদেশে? খালেদা জিয়া কি বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করতে রাজি আছেন?
গত দু'দিনে দলীয় সাত সাংসদ খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করেন।
সাংসদ হারুনুর রশীদ খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিন গতকাল বুধবার
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। ফলে
বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের বৈঠকেও খালেদা জিয়ার
মুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিষয়টি বিচারাধীন থাকার
কথা উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে নেতাদের সতর্কতার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ
দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সামনে আসায় নানা
জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী
অভিযানের মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন
রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা। আগামী ১৩ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অবকাশের পর দুটি
মামলায় জামিনের জন্য ফের আবেদন করবেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তাদের
প্রত্যাশা খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাবেন।
অবশ্য বিএনপিদলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদের বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ
সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য
বিদেশে যেতে রাজি আছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে তাকে অনুরোধ
করা হয়েছে। হারুনুর রশীদ নিজেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, খালেদা জিয়া
বিদেশে যেতে রাজি।
তবে দলের কয়েকজন সাংসদ জানিয়েছেন, কোনো শর্তে খালেদা জিয়া জামিন নিতে
আগ্রহী নন। প্যারোলে তিনি মুক্তি নেবেন না, এটা অনেক আগেই বলেছেন। আসলে
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।
তার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ আশা করেন তারা।
অন্যদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জামিনে মুক্ত হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ
অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা নেবেন তিনি। সেটা দেশেও হতে পারে কিংবা বিদেশেও হতে
পারে। এ ক্ষেত্রে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে সবকিছু।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রাতে সমকালকে
বলেন, এটি সাংসদদের রুটিন সাক্ষাৎ। তারা অনেক আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে
আবেদন করেছিলেন। এমপি হিসেবে তারা দলীয়প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।
মুক্তি পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন কি-না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
জামিনে তার মুক্তি প্রাপ্য। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কোথায় চিকিৎসা নেবেন- সে
সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে
বিএনপি। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে দলের আন্তর্জাতিক উইংয়ের নেতারা
বৈঠক করেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, তারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ও জামিনে মুক্তির বিষয়টি
নিয়ে শিগগির বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাংসদ হারুনের সাক্ষাৎ :খালেদা জিয়ার সঙ্গে
সাক্ষাতের পরদিন গতকাল দুপুরে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে
সচিবালয়ে দেখা করেন বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ। গত মঙ্গলবার কারাবন্দি
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হারুনুর রশীদ বলেছিলেন, খালেদা
জিয়া আজ জামিন পেলে, কালই বিদেশ যাবেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের সঙ্গে কথা বলার পর আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'জামিন পেলে
খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন'- এ কথা বিএনপির যে এমপি বলেছেন, তিনি আমার
সঙ্গে দেখা করেছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে বলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।
রাজনৈতিক সমঝোতায় খালেদা জিয়া কারামুক্ত হচ্ছেন কি-না- এ প্রশ্নে ওবায়দুল
কাদের বলেন, 'জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে আদালতের। আদালতকে জামিন দেওয়ার কথা
কীভাবে বলব। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো
বিরোধ নেই। যখন আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন, তখন পক্ষে-বিপক্ষে কথা
হবে। তাকে জামিন দেবেন কি-না, তা বিচারকের বিষয়।'
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভেতরে ভেতরে তারা
সরকারের কাছে জামিন চাইলেও বাইরে বলছেন আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত
করবেন। আমিও চাই বিএনপি আন্দোলন করুক। কিন্তু আন্দোলনের ছিটেফোঁটাও দেখছি
না। বিদেশে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে আন্দোলন হয় না। যদি আন্দোলন করার
সক্ষমতা থাকত তাহলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পরপরই আন্দোলন হতো।
সাংসদ হারুনুর রশীদ সমকালকে বলেন, এলাকায় সড়কের কাজের জন্য তিনি ওবায়দুল
কাদেরের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা
বলেছেন। গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার
বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সংসদ নেতা
প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য বলেছি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা
অত্যন্ত খারাপ এবং তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। তার চিকিৎসার জন্য হলেও
জামিন তাড়াতাড়ি করবেন কি-না, এ বিষয়ে জানিয়েছি। তিনি জানান, ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে অবহিত করবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে চার সাংসদের সাক্ষাৎ :গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপিদলীয়
চার সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউতে
চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান
জিএম সিরাজ এমপি। বিকেল সোয়া ৩টায় বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬
আসনের জিএম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত নারী
আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর রুমে খালেদা
জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপি দলীয় তিন এমপি উকিল
আবদুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেছিলেন। সে সময় হারুনুর রশীদ এমপি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া
জামিন পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন।
একজন সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, তারা এমপি
নির্বাচিত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তার দোয়া নিতে
পারেননি। এজন্য তারা দলীয় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা নেন। তিনি
বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কোনো সমঝোতার আলোচনা থাকলে তা শুধু দলের
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর ছাড়া আর কেউ জানেন না।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে জিএম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়া
রাজনৈতিক বন্দি। তার জামিনের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। রাজনৈতিক
সিদ্ধান্ত ছাড়া তার মুক্তি হবে না। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার
কাছে সবিনয়ে অনুরোধ- খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে
নেত্রীকে ছেড়ে দিন, জামিনের ব্যবস্থা করে দিন।
জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যাপার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদেরের এরকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জিএম সিরাজ বলেন,
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। খালেদা জিয়া চিকিৎসার
জন্য বিদেশে যাবেন কি-না প্রশ্ন করা হলে বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ জিএম সিরাজ
বলেন, চিকিৎসার ব্যাপারে ম্যাডামের বক্তব্য হলো তিনি তো দেশেই বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে যাবেন। বিদেশে
যাওয়ার আগ্রহের কথা খালেদা জিয়া আপনাদের বলেছেন কি-না প্রশ্ন করা হলে তিনি
বলেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আপনারা সমঝোতার কোনো বার্তা নিয়ে
গিয়েছিলেন কি-না প্রশ্ন করা হলে জিএম সিরাজ বলেন, তারা কোনো সমঝোতার
বার্তার কথা জানেন না। 'যেখানে পরিবারের সদস্যরাই দেখা করতে চাইলে বিলম্ব
হচ্ছে- সেখানে আপনারা সাক্ষাৎ পাচ্ছেন। সরকারই আপনাদের পাঠাল কি-না প্রশ্ন
করা হলে সংরক্ষিত নারী এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, একদমই না।
প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, তিনি
সরাসরি প্যারোলের বিষয়ে ম্যাডামকে বলেছিলেন। ম্যাডাম তাকে বলেছেন, জামিন
তার হক। দেশের আইন অনুযায়ী তিনি এখনই জামিন লাভের যোগ্য। কোনো রকমের অপরাধ
তিনি করেননি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে?
পৃথকভাবে দুই দিনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে জিএম সিরাজ বলেন,
একসঙ্গে ৪ জনের বেশি দেখা করার বিধান নেই। সেজন্য দুই দফায় নেত্রীর সঙ্গে ৭
জন সাক্ষাৎ করেছেন।
মামলার সর্বশেষ অবস্থা :খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা বর্তমানে
বিচারাধীন থাকলেও কারামুক্তিতে বাধা দুই মামলা। নানা আইনি জটিলতায় মুক্তি
মিলছে না খালেদা জিয়ার। খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে এখন অন্তত দুই মামলায়
জামিন পেতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এ
দুটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান সমকালকে
জানিয়েছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়
উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন
সমকালকে বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেতে হলে দুটি মামলায় জামিন পেতে হবে।
আগামী ১৩ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অবকাশের পর দুটি মামলায় জামিনের জন্য ফের
আবেদন করা হবে এবং জামিন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমকালকে বলেন, খালেদা জিয়ার
জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। কোন মামলায় তার জামিন হবে বা হবে না
সেটা সরকার বলতে পারে না। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সমকালকে বলেন, আইনের
প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিএনপির এমপিরা কীভাবে সরকারের কাছে জামিন চাইতে
যান, এটা আমার বোধগম্য নয়। বিচারাধীন মামলায় সরকার কীভাবে খালেদা জিয়াকে
জামিন দেবে, আমার জানা নেই।
- বিষয় :
- খালেদা জিয়ার মুক্তি