দোহারে শিখা হত্যায় স্বামী রুহুলের মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৩৮ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৩৮
ঢাকার দোহারে গৃহবধূ শিখা আক্তারকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী রুহুল আমিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া লাশ গুমে সহায়তা করায় তাঁর শ্বশুর মনোয়ার হোসেন, শাশুড়ি আছমা বেগম ও ভাশুর মারুফ খানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অর্থদণ্ডেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি দীপক কুমার দেব এ তথ্য জানিয়েছেন।
রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে নিহতের মা রুনু আক্তার বলেন, রুহুল আমিনের সাজা কার্যকর হলে শিখার আত্মা শান্তি পাবে। একই সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি আছমা হলেন হত্যার পরিকল্পনাকারী। তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হলে আরও খুশি হতাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সঙ্গে বিবাহ হয় শিখার। ওই বছরের ৩ আগস্ট বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। এসব দেখে পছন্দ না হওয়ায় তাঁর মা রুনুর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ওই পরিবারের সদস্যরা। রাতে শিখার সঙ্গে তাদের ঝগড়াও হয়। এরপরও বিভিন্ন সময় কলহ হয়েছে। পরে ৬ আগস্ট বাড়ির পাশের পুকুর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো শিখার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ৬ আগস্ট শিখা হত্যার ঘটনায় দোহার থানায় মামলা করেন তাঁর মা রুনু।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরের বছর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
- বিষয় :
- গৃহবধূ হত্যা
- স্বামী
- মৃত্যুদণ্ড
- লাশ গুম