ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বিশেষজ্ঞ মত

বয়স্কদেরও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে

শিশুদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

­­ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ

­­ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ০০:৫১ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ০৭:৩৮

যশোরে শনিবার দেশের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। ঘরে থেকেই শরীর ঘেমে যাচ্ছে। বাইরে বের হলে অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যাচ্ছে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে হিট স্ট্রোকের।

মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। দীর্ঘ সময় যারা রোদে থাকছেন, তাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তীব্র গরমে তাপ নিয়ন্ত্রণে শরীরের নিজস্ব ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে প্রবল। এ অবস্থায় তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।

গরমে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বয়স্করা। এর বাইরে আগে থেকে যারা কিডনি রোগ, হৃদরোগ, ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। তুলনামূলক শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তারা বাইরে যায়, খেলাধুলা, দৌড়াদৌড়ি করে। এ কারণে ঘামের সঙ্গে শিশুদের শরীর থেকে লবণ বের হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, দুর্বল হয়ে যায়। এককথায় নেতিয়ে পড়ে। 

আবার শিশুরা বাইরে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর নানা শরবত ও জাঙ্কফুড খায়, এতেও বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে পানিবাহিত ডায়রিয়া হতে পারে। শিশুদের বক্ষব্যাধিজাতীয় ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ হয়। এতে শ্বাসকষ্ট হয়।

প্রচণ্ড গরমে অভিভাবকদের শিশু ও বয়স্কদের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। অযথা শিশুদের বাইরে নেওয়া ঠিক হবে না। যতটা সম্ভব লাফালাফি ও দৌড়াদৌড়ি করা থেকে বিরত রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। এই মুহূর্তে বাইরের কোনো খাবার না দেওয়াই ভালো। মাঝেমধ্যে খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সাবধানতার পরও অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক: প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক

 

আরও পড়ুন

×