নৌপথে ভিড় বাড়লেও যাত্রায় স্বস্তি

রাজধানীর সদরঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়, অনেকেই উঠেছেন লঞ্চের ছাদে সমকাল
অমরেশ রায় ও ইমরান হুসাইন
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪ | ০০:৩০ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ | ০১:২০
ঈদযাত্রায় নৌপথে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। এরপরও গত দু’দিনে অনেকটা স্বস্তিতে ঈদে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্বস্তির এ যাত্রায় অনেকের মুখেই হাসি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার ছিল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের শেষ কর্মদিবস। ওই দিনই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ঈদের বিশেষ লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়। চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। শেষ কর্মদিবস হওয়ায় দুপুর থেকেই নৌপথের যাত্রীরা সদরঘাটে আসতে শুরু করেন। বিকেলে ভিড় আরও বাড়ে। সন্ধ্যায় ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। এ অবস্থা গতকাল শুক্রবারও দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে শতাধিক লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৯৪টি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও শুক্রবার ৯০টির বেশি সদরঘাট ছেড়েছে। ফলে যাত্রীদের চাপ তুলনামূলক বেড়েছে। ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় ব্যস্ত ছিল ঘাট। অনেকটা আগের রূপে ফিরেছে ডেক ও কেবিন।
শুক্রবার সকাল থেকে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী ও শরীয়তপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো ছাড়ে। দুপুরে ভিড় তুলনামূলক কিছুটা কম ছিল। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, বগা, ভোলা, ঝালকাঠি, রাঙ্গাবালী, ভান্ডারিয়া এবং হুলারহাটসহ নৌরুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোও নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়েছে। এসব লঞ্চের কেবিন খালি নেই; ডেকেও দেখা গেছে যাত্রীর ভিড়। তুলনামূলক যাত্রী কম ছিল বরিশাল রুটে। দূরবর্তী ভোলা রুটে যাত্রীর যথেষ্ট ভিড় ছিল।
সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালের কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ সুমন আহমেদ বলেন, টার্মিনালে যাত্রীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য ঈদের তুলনায় ভিড়ও বেশি। ফলে লঞ্চ সংখ্যা বাড়তে পারে। একই কথা জানালেন সদরঘাটের মানিক-১ লঞ্চের সুপারভাইজার তন্ময় ইসলামও।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ঈদ উপলক্ষে ১৩ জুন থেকে বিশেষ লঞ্চ চালু হয়েছে। নৌযানের নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একই বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ঈদ কেন্দ্রিক চাপ আছে। তবে খুব বেশি নয়।
ভোলা যাওয়ার উদ্দেশে টার্মিনালে সপরিবারে আসা পোশাক শ্রমিক সমশের আলী বলেন, কয়েক বছর আগেও টিকিট পেতে ঠেলাঠেলি করতে হতো। এখন সে অবস্থা নেই। তবে ভাড়া, বিশেষ করে কেবিন ভাড়া বেশি রাখছে। আরেক যাত্রী রানা আহমেদ বলেন, ডেকের ভাড়া স্বাভাবিক থাকলেও কেবিনে বেশি রাখা হচ্ছে।
এদিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটেও ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে এসব ঘাটে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। তবে সেখানেও ভোগান্তি নেই। ফেরি ও লঞ্চে করে পদ্মা-যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা।
- বিষয় :
- সদরঘাট