যাত্রা করল ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের ‘ইন্সপায়ারস্পিয়ার’

ছবি-সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪ | ২২:৩৫
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) স্থায়ী ক্যাম্পাসে গত ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব আয়োজিত ‘ইন্সপায়ারস্পিয়ার: লেটস মেক দ্য চেঞ্জস’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
প্রতিযোগিতাটি পাঁচটি প্রধান সমস্যার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সেগুলো হলো- মানসিক স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, যুব ক্ষমতায়ণ, সাক্ষরতার হার ও পশু কল্যাণ এবং এই প্রতিটি সমস্যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১, ২, ৩, ৪, ৮, ১০, ১২, ১৫, এবং ১৬-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. জুড উইলিয়াম জেনিলো, জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইকুরিয়ার লিমিটেডের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল, জেসিআই ঢাকা ইয়ং-এর স্থানীয় সভাপতি আনিকা দাইয়ান এবং ইউএনডিপি'র যোগাযোগ প্রধান মো. আব্দুল কাইয়ুম।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন- ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের উপদেষ্টা সেলিমা কাদের চৌধুরী। তার পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. জুড উইলিয়াম জেনিলো, টেকসইতার প্রতি ইউল্যাবের অটল প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তাছাড়াও ডব্লিউইউআরআই এবং টাইমস র্যাংকিংয়ে ইউল্যাবের সাম্প্রতিক অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। পরে তিনি অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জেসিআই ঢাকা বাংলাদেশের সহ-সভাপতি বিপ্লব ঘোষ রাহুল তার বক্তৃতার মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন। এছাড়াও জেসিআই ঢাকা ইয়াং-এর স্থানীয় সভাপতি আনিকা দাইয়ান তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অংশগ্রহণকারীদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেন। ইউএনডিপির যোগাযোগ প্রধান মো. আব্দুল কাইয়ুম এসডিজি নিয়ে আলোকপাত করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবন ও ব্যস্ততার উপর জোর দিয়ে নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে পার্টনার এবং স্পন্সরদের পরিচয় করানো হয়। গোল্ড স্পন্সর ছিল তামিশনা গ্রুপ, ব্রোঞ্জ স্পন্সর: নীড় সেবা সংস্থা এবং আর্নো (গ্লোবাল কনসালটেন্সি সেন্টার)। দক্ষতা অংশীদার ছিল কিরণ, কৌশলগত অংশীদার ছিল জেসিআই। ফুড পার্টনার ছিল বেগমস ক্যাটারিং এবং স্ন্যাক পার্টনার ছিল শাফল। রেডিও পার্টনার ৯০.৪ ঢাকা এফএম এবং ফটোগ্রাফি পার্টনার ছিল প্ল্যাক্সিমা স্টুডিও। মিডিয়া পার্টনার ছিল দ্য ডেইলি স্টার এবং প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার ছিল সমকাল। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।