ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

এনআইডির তথ্য হাতিয়ে পাসপোর্টে বিদেশ পাড়ি

এনআইডির তথ্য হাতিয়ে পাসপোর্টে বিদেশ পাড়ি

ব্যবসায়ী রুবেল

 আছাদুজ্জামান

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪ | ০০:১৯

রাজধানীর মিরপুরে গার্মেন্ট ব্যবসা ফরিদপুরের রুবেল খানের। ক্রেতার আমন্ত্রণে বিদেশ যাওয়ার জন্য সম্প্রতি পাসপোর্ট করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফরিদপুরে আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে রুবেল জানতে পারেন, তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) অধীনে ইতোমধ্যে তিনবার পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়; এসব পাসপোর্ট ব্যবহার করে দীর্ঘ ১১ বছর মালয়েশিয়া আছেন তাঁরই চাচাতো ভাই আশরাফ খান।

২০১৩ সালে রুবেল খানের এনআইডির তথ্যে প্রথম পাসপোর্ট ইস্যু হয়। সেখানে নাম-পরিচয় এমনকি জন্মতারিখও ঠিক রয়েছে। শুধু ছবি ভিন্ন। এনআইডির ছবির সঙ্গে পাসপোর্টের ছবির কোনো মিল নেই। আশরাফ খান নিজে রুবেল সেজে এ পাসপোর্টে ওই বছর মালয়েশিয়া যান। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রুবেলের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করেও পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন ধূর্ত আশরাফ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রুবেল খানের এনআইডি চুরি করে স্থায়ী ঠিকানা (মো. রুবেল খান, বাবা- এ ওহাব খান, মা-মোসাম্মাদ মরিয়ম বেগম; গ্রাম-কদমী, ডাকঘর-বন্ডপাশা, উপজেলা- বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর) দিয়ে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর পাসপোর্ট করতে দেন আশরাফ খান। ফরিদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর এমআরপি পাসপোর্ট (এজি৪৬৭৫১৪৯) পান তিনি। মেয়াদ শেষ হলে ২০১৭ সালের ২ আগস্ট মালয়েশিয়ান হাইকমিশন থেকে আশরাফ পাঁচ বছর মেয়াদি এমআরপি (বিপি-০৮৭৮৬৩৬) নেন। এ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে ২০২১ সালের নভেম্বরে দেশে ফিরে ফরিদপুর আঞ্চলিক অফিসে ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) জন্য আবেদন করেন। এতেও রুবেল খানের স্মার্ট এনআইডি নম্বর জোগাড় করে জমা দেন আশরাফ। এই স্মার্ট এনআইডির তথ্য ধরে আশরাফ তাঁর ছবি, আইরিশ ও আঙুলের ছাপ পাসপোর্ট অফিসে দেন। কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তিনি ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ই-পাসপোর্ট (এ-০৩২২৫০৯৭) পান। পরে উড়াল দেন মালয়েশিয়া।
বাস্তবে আশরাফ খানের গ্রাম, ডাকঘর, থানা ও জেলা এক হলেও বাবার নাম কাশেম খান এবং মা রোকেয়া বেগম। জানতে চাইলে মালয়েশিয়া থেকে টেলিফোনে আশরাফ খান সমকালকে বলেন, ‘প্রথমবার আমি পুলিশকে ২১ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষে নিয়ে পাসপোর্ট করেছি। অন্যবারও একই পথে কাজ হয়েছে। কাজটি অন্যায় হয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না! তবে আমার চাচাতো ভাই রুবেল পাসপোর্ট করাতে সহযোগিতা চাইলে করতে প্রস্তুত।’

ভুক্তভোগী রুবেল খান বলেন, ‘আমার এনআইডির সব তথ্যে আশরাফ খান কীভাবে পাসপোর্ট করে বিদেশ গেলেন, বুঝতে পারছি না। পুলিশের বিশেষ শাখাই কীভাবে এটি ভেরিফিকেশন করল? পাসপোর্ট অধিদপ্তর সঠিক এনআইডির বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যু এবং আগেরটি বাতিলে পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছি। দ্রুত পাসপোর্ট না পেলে আমার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়ে যাবে।’
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফরিদপুরের উপপরিচালক আবু নাঈম মাসুম বলেন, ‘এমন জালিয়াতি চাকরিজীবনে প্রথম দেখলাম। 

আরও পড়ুন

×