ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পেয়ারা থেকে জুস আচারসহ নানা পণ্য বানিয়ে লাভবান চাষি

পেয়ারা থেকে জুস আচারসহ নানা পণ্য বানিয়ে লাভবান চাষি

ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০০:২৯

বর্ষা মৌসুমে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়ন, নবগ্রাম ইউনিয়নের ভীমরুলী বিলসহ বিভিন্ন খালে পেয়ারার ভাসমান হাট জমে ওঠে। কিন্তু উৎপাদিত পেয়ারার ন্যায্য দাম পান না চাষিরা। এমন পরিস্থিতিতে পেয়ারা দিয়ে মুখরোচক সুস্বাদু খাবার জ্যাম, জেলি, আচার, টফি ও জুস তৈরি করছেন ঝালকাঠির কৃষি উদ্যোক্তারা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এসব খাবার বিক্রিতে দেশে-বিদেশে বিপণনের সংযোগ তৈরি করবে।

শনিবার ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আওতায় বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় বাস্তবায়নাধীন পেয়ারা প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্র্যান্ডিং ও বিপণন কার্যক্রম সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কিশোর কুমার সাহা বলেন, ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যারা ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তারা হাতে-কলমে পেয়ারার জ্যাম, জেলি, জুস ও টফি প্রস্তুত করছেন। লাভবান হচ্ছেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি এসব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার বিক্রির জন্য বাজার সংযোগ তৈরি করে দেবে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের কৃষক বাজারেও বিক্রি করা যাবে। এতে কোনো খরচ লাগবে না। বড় প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণসহ কলকারখানার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। 

ঝালকাঠির চেয়ারা চাষি ঋতুপর্ণা হালদার বলেন, পেয়ারা দিয়ে যে এত ভালো খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতে পারে, জানা ছিল না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শত শত নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মুহম্মদ আশিক ইকবাল খান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয় লাল বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক এস এম মাহবুব আলম এবং কর্মসূচি পরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন।

আরও পড়ুন

×