ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

বিদেশি প্রজাতির গাছ রোপণ কমিয়ে আনতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

বিদেশি প্রজাতির গাছ রোপণ কমিয়ে আনতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি: সমকাল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৯:০৭

বন উজাড় রোধ করে দেশের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমাদের দেশে বন উজাড়ের হার অনেক বেশি। আমাদের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করতে হবে। তাছাড়া এমন গাছ লাগাতে হবে যা পরিবেশের জন্য উপযোগী। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গাছের কিছু প্রজাতি সিলেক্ট করা হয়েছে, যা আমরা লাগাতে নিরুৎসাহিত করব। বিদেশি প্রজাতির গাছ রোপণ যেন আর না হয়।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘বৃক্ষরোপণ, পলিথিন ও এসইডিপি বর্জন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি আহ্বান জানান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তা এদেশের মানুষ আগে কখনও দেখেনি। জীবাশ্ম জ্বালানির অবাধ ব্যবহারের কারণেই পৃথিবী এমন খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। কার্বনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বলা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনারা কি চলতি মডেলেই সীমাবদ্ধ থাকবেন নাকি টেকসই মডেলের কথা ভাববেন।

বনাঞ্চলের গুরুত্ব ও বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে নতুন আইন প্রবর্তন করতে হবে কারণ আমাদের জলবায়ু এখন অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।

পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকবার জোর তদারকির কারণে সেটার ব্যবহার কমে গিয়েছিলো। কিন্তু এখন তদারকির অভাবের ফলে সেটা আবারও বেড়েছে। পলিথিনের পরিবর্তে কাগজের মোড়ক ব্যবহার বাড়াতে পারলে দেশে আবার পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। আমাদের কাছে পলিথিন সুবিধাজনক হলেও সেটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পলিথিন বিনষ্ট হতে ১০০ বছর লাগে। আমরা যদি পলিথিন ব্যবহার কমিয়ে দেই তাহলে বিক্রেতারাও পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে দিবে।

সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিষয়ে তিনি বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার আমাদের পরিবেশের জন্য ক্ষতির পাশাপাশি তা আমাদের দেহেও সেটা সময়ের পরিক্রমায় প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। ভারত কিংবা থাইল্যান্ডও এখন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বাদ দিয়েছে। তারা কাগজ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে প্লাটিকের ব্যবহার পূরণ করছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আহসান হাবীব, উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×