ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা

বিটিভি ও বেতারের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রয়োজন

বিটিভি ও বেতারের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রয়োজন

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:১৬

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু এই দুটি প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। হারানো গৌরব ফিরে পেতে হলে প্রতিষ্ঠান দুটির সমন্বয়ে সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। নয়তো সরকারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার চলতে থাকবে।

রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে তথ্য ভবনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালকরা এসব কথা বলেন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন এর কার্যালয়ে সভাটি আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনপ্রধান কামাল আহমেদ।

বেতারের সাবেক মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, বেতার কি এখনও আছে বা চলে, এটা সাধারণ শ্রোতার প্রশ্ন। নীতিনির্ধারক এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষও এই প্রশ্ন করে থাকেন। 

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন যতদিন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ততদিন সরকারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করতে হবে। কোনো কোনো সময় স্থানীয় এমপিদের সংবাদ প্রচার না করলে তারা উষ্মা প্রকাশ করতেন।

শাহজাদী আঞ্জুমান আরা বলেন, অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে অলিখিত নির্দেশনা ছিল। কেউ কেউ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করত। 

নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন, সংস্কারের ফল যদি গ্রামের কৃষক পর্যন্ত পৌঁছায়, সেটা হলো আসল সংস্কার। বেতারের এখনও হাজার হাজার শ্রোতা আছে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে মানুষ বেতার শোনে।

খাদিজা বেগমের মতে, বেতারে সংস্কার করা দরকার। বেতারে তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করেন। তাদের দক্ষ করে তৈরি করতে একটি নেতৃত্ব প্রয়োজন।

নাসরুল্লাহ মো. ইরফান বলেন, বাংলাদেশ বেতার এখন নিউ মিডিয়ায় চলে এসেছে। বেতারে হাজারো সৃজনশীল অনুষ্ঠান আছে। স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে বেতারের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া জানান, বাংলাদেশ বেতারের সৃষ্টিকাল থেকে এ যাবৎ কখনও কোনো গবেষণা হয়নি। এটি করা উচিত ছিল। 

সভাপতির বক্তব্যে কমিশনপ্রধান কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে হবে। গণমাধ্যমের মধ্যে একটা বড় অংশ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সংবাদ ও অনুষ্ঠানে বহু মত বা ভিন্ন মতের প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। 

সভায় অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, টিটু দত্ত গুপ্ত ও কামরুন্নেসা হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন

×