মেজর সিনহা হত্যা মামলা
প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ৬ জনের যাবজ্জীবন

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫ | ০১:২৮
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অপর ছয় আসামিরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন। রায়ে যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব এবং কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন রায়টা কার্যকর করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও শামীমা দীপ্তি। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহাজাহান। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের ফাঁসিসহ বিচারিক আদালতের পুরো রায় বহালের আবেদন করেন।
গত ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে ২৩ এপ্রিল আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্রের শুটিং শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।
- বিষয় :
- হত্যা
- মৃত্যুদণ্ড