ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

নোয়াবের সংবর্ধনায় প্রথম আলো সম্পাদক

ভালো সাংবাদিকতা করলে ছাপা পত্রিকারও সম্ভাবনা আছে

ভালো সাংবাদিকতা করলে ছাপা পত্রিকারও সম্ভাবনা আছে

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টাইমস মিডিয়া ভবনে নোয়াব সদস্যরা প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ২২:৪১ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ | ২৩:০২

পাঠকের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে, ভালো মানের সাংবাদিকতা উপহার দিলে ছাপা পত্রিকাও সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। অনেকে বলেন, ছাপা পত্রিকার দিন শেষ। আমি মনে করি, মানসম্পন্ন কনটেন্টই যে কোনো মাধ্যমের টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান মঙ্গলবার তাঁকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টাইমস মিডিয়া ভবনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সাহসী সাংবাদিকতা, তরুণ পাঠকদের যুক্ত করা এবং পরে নানামুখী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা পত্রিকা হিসেবে ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পায় প্রথম আলো। এটি গণমাধ্যমের জন্য সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তা উদযাপন করতে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। নোয়াব সদস্যরা প্রথম আলো সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ, সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান বাদল, যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, কাউন্টার পার্ট সম্পাদক জাফর সোবহান এবং ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড-এর প্রকাশক মাসরুর রিয়াজ।

অনুষ্ঠানে মতিউর রহমানের সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে আলোকপাত করেন এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, মতিউর রহমান গণতন্ত্রকে সুসংহত করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন সম্পাদকীয় নীতি অনুসরণ করছেন।
এ. কে. আজাদ বলেন, এসিড সহিংসতার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরিতে নিরলস লড়াইয়ের জন্য তিনি র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছেন মতিউর রহমান। তিনি সাহস, সততা ও পেশাদারিত্বের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা দেশের সংবাদপত্র শিল্পের জন্য গর্বের। 

সংবর্ধিত অতিথি মতিউর রহমান বলেন, সাংবাদিকতা জীবনের ৫০ বছর পার করে ফেলেছি। যা কিছু করেছি ভালো ভেবে, ভালোর জন্য করেছি। ভুলও আছে অনেক। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। সে সময়ে এমন একটা পুরস্কার পাওয়া সংবাদপত্রের শক্তিকেই তুলে ধরে। 

মতিউর রহমান বলেন, গত জুলাই-আগস্টে অনলাইনে প্রথম আলোর পাঠক হয়েছিল ৩১ কোটি। পত্রিকার প্রচার সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। এটি প্রমাণ করে, প্রিন্ট পত্রিকার চ্যালেঞ্জের যুগেও ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করতে পারলে পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ানো যায়। 

নোয়াবের সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন, মতিউর রহমান রাজনীতি করেছেন, সমাজ বদলের চেষ্টা করেছেন, লিখেছেন। তিনি আসলে আমাদের মাথার ওপর বটগাছের মতো। নিজের পথচলাতেই আমাদের জন্য দিশা তৈরি করেছেন তিনি।

যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, মতিউর রহমান যা করে দেখিয়েছেন, তা এককথায় অসাধারণ ও অনুকরণীয়। সাহস, দূরদৃষ্টি ও দায়িত্ববোধ নিয়ে তিনি শুধু প্রথম আলো নয়, পুরো সাংবাদিকতাকেই এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শামসুল হক জাহিদ, দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, জাফর সোহবান ও শাহেদ মুহাম্মদ আলী।

আরও পড়ুন

×