ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সংসদীয় কমিটির মন্তব্য: নদী খননে 'শুভংকরের ফাঁকি'

সংসদীয় কমিটির মন্তব্য: নদী খননে 'শুভংকরের ফাঁকি'

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২০ | ০৯:৫৫

হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নদী খননের কাজকে 'শুভংকরের ফাঁকি' বলে অভিহিত করছে সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় বলা হয়, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর বালু তুলে নদীতেই ফেলা হচ্ছে। ফলে অস্বচ্ছতা রয়ে যাচ্ছে।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মাহবুবউল-আলম হানিফ, মির্জা আজম ও মুহিবুর রহমান মানিক অংশগ্রহণ করেন।

নদী খননের বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। তারা বলছেন, আরিচা, গোয়ালন্দ, মাওয়া ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএ বলেছে ড্রেজিং করেছে। এ ব্যাপারে জবাবদিহি চেয়েছে কমিটি।

বৈঠক শেষে আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, ড্রেজিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নেই বলে কমিটি মনে করে। বালু তুলে নদীতে ফেলা হয়। নদীপাড়ের জমি লিজ বা ভাড়া নিয়ে সেখানে বালু ফেললে কত বালু তোলা হয়েছে, তা পরিমাপ করা যায়। তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু কার্যত ড্রেজিং দৃশ্যমান নয়। আরিচা ও মাওয়ায় ফেরি বন্ধ, অথচ বলা হচ্ছে ড্রেজিং চলছে। ড্রেজার কেনায়ও স্বচ্ছতা নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কমিটি সুপারিশ করেছে। বৈঠকে নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে নৌ-টার্মিনালে প্রবেশে টিকিটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে নদী খনন, নদী দূষণ, দখল রোধসহ সব কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এ ছাড়া নদী দখল ও দূষণ রোধে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ/দখলমুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও পড়ুন

×