হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ভিসিকে রাবি ছাত্রলীগের স্মারকলিপি

রাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন ছাত্রলীগ নেতারা- সমকাল
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ১১:১৮
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবসিক হলগুলো খুলে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। এ দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। উপাচার্য তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।
স্মারকলিপিতে ছাত্রলীগ নেতারা উল্লেখ করেন, ‘সেশনজট নিরসন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের প্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জরুরি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য হলে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই পরীক্ষা গ্রহণের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। যা একপাক্ষিক, শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিপ্রতীপ, বিদ্যমান বাস্তবতায় অনুপযুক্ত সমাধান এবং কোন অবস্থাতেই অভিভাবকসুলভ নয়। বিশেষ করে ছাত্রী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি স্পষ্টতই অনভিপ্রেভ এবং করোনাকালীন বাস্তবতায় আর্থিক সক্ষমতার বাইরে। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের জন্য হল উন্মুক্ত করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, সঠিক রুপকল্প ও বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা গ্রহণ করা বাস্তবসম্মত, ন্যায়ানুগ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদার জন্য উত্তম সমাধান। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-প্রত্যাশা-অধিকারের আলোকে হল খুলে দিয়ে এবং স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।’
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। নগরীর বাইরে যাদের বাড়ি তাদেরকে শহরে এসে মেসে থেকে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে করে সকলকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে পাশাপাশি মেস ভাড়া দিতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের পরিবারের পক্ষে করোনার এই সময়ে মেসভাড়া বহন করা অনেক কষ্টকর। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা চাই, হল খোলা রেখেই পরীক্ষা নেওয়া হোক।’
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় রাবিতে অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু বিষয়ে অনুমোদন দেয় একাডেমিক কাউন্সিল। তবে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেওয়ার। ২০১৯ সালে যারা অনার্স শেষ বর্ষে ও মাস্টার্সে ছিলেন শুধুমাত্র তাদের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।