মুখোমুখি তাপস-খোকন

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ | ১৫:২৬
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ও বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এখন মুখোমুখি। কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যে পরস্পর বাগ্যুদ্ধ রাজনৈতিক মহলে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আনছেন। অবশ্য এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সূত্রপাত ঘটিয়েছেন সাবেক মেয়র নিজেই। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে মানহানির মামলায় রূপান্তর হতে যাচ্ছে।
সাবেক মেয়র প্রকাশ্যে মানহানিকর ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার পর বর্তমান মেয়র তাপস তার বিরুদ্ধে গতকাল মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার দু'জন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে সিএমএম কোর্টে মানহানির মামলার আবেদন করেন। দু'জনের বক্তব্য শুনে আদালত আজ মামলার আদেশ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। তাপসের মামলা দেওয়ার ঘোষণার পর বসে নেই সাঈদ খোকনও। তাৎক্ষণিকভাবে তিনিও এক বিবৃতিতে জানতে চেয়েছেন, 'তাপসের মানসম্মানের বাজারমূল্য কত? মামলার পূর্ণাঙ্গ বিবরণী পাওয়ার পরই সেটা আমি জানতে পারব। সেই মামলার আইনি মোকাবিলার পাশাপাশি রাজপথে দেনা-পাওনারও হিসাব হবে।' এমন অবস্থায় সাবেক ও বর্তমান দুই মেয়রের বিরোধ নতুন করে আরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার এই সাপে-নেউলে সম্পর্ক দলের শীর্ষ পর্যায়কেও ভাবিয়ে তুলেছে।
গত শনিবার সাঈদ খোকন মেয়র তাপসকে 'রাঘববোয়াল' হিসেবে আখ্যা দিয়ে ডিএসসিসির শত শত কোটি টাকা তার মালিকানাধীন ব্যাংকে স্থানান্তরের অভিযোগ করেন। জবাবে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মানিকনগরে বক্সকালভার্টের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে ব্যারিস্টার তাপস সাংবাদিকদের বলেন, 'সাঈদ খোকন নিজেকে চুনোপুঁটি দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকারও করেছেন।'
সাঈদ খোকনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার তাপস ডিএসসিসির মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সাঈদ খোকন মেয়র থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি খুঁজতে শুরু করেন। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন, যারা সাঈদ খোকনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া সাঈদ খোকনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আরও প্রায় দুই ডজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওএসডি করেন। এ ঘটনার পরও অনেকটা নীরবেই ছিলেন খোকন। সম্প্রতি ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ ও সুন্দরবন স্কয়ার সুপারমার্কেটের নকশাবহির্ভূত শত শত দোকান উচ্ছেদ শুরু করলে সাঈদ খোকন জানিয়ে দেন, ওইসব দোকান অবৈধ নয়। সকল নিয়মকানুন মেনেই তাদের অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব দোকানের বিষয়ে অনেক অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। দেড় সহস্রাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদের পর ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু নিজে বাদী হয়ে সাঈদ খোকনসহ ডিএসসিসির সাতজনের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি টাকা উৎকোচ নেওয়ার মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পেছনেও বর্তমান মেয়র তাপসের হাত আছে বলে মনে করেন সাঈদ খোকনের অনুসারীরা। এমন প্রেক্ষাপটে সাঈদ খোকনও বসে থাকেননি। তথ্য অনুসন্ধান করে তিনি জানতে পারেন যে ডিএসসিসির যে ২৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল, সেটা কমিয়ে আটটিতে আনা হয়েছে। আর ডিএসসিসির ফান্ডের টাকার একটি বড় অংশ তাপসের মালিকানাধীন ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সমকালকে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, 'টাকা পয়সা তিনি স্থানান্তর করতেই পারেন। কিন্তু যখন নিজের ব্যাংকে স্থানান্তর করেন তখনই সেটা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়। এই টাকা যদি তিনি অন্য কোনো ব্যাংকে স্থানান্তর করতেন তাহলে সেখানে কোনো প্রশ্ন ছিল না। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমি তার কোনো মানসম্মানের হানি ঘটাইনি। যেটা সত্য সেটা বলেছি। ব্যাংকের যে অডিট রিপোর্ট আছে, সেখানেই টাকা স্থানান্তরের প্রমাণ আছে।'
এদিকে গত ৯ জানুয়ারি শনিবার ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ ও সুন্দরবন স্কয়ার সুপারমার্কেটের উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টের সামনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। ওই মানববন্ধনে যোগ দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, দোকান বরাদ্দে কোনো অনিয়ম হয়নি। দোকান মালিকদের কাছ থেকে ৫-৭ বছরের বকেয়া ভাড়া নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে সকল নিয়মকানুন অনুসরণ করে নকশা সংশোধন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দোকান বরাদ্দ নিয়ে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ব্যারিস্টার তাপসকে উদ্দেশ করে বলেন, রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপুর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন। পাশাপাশি ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরেরও অভিযোগ করেন এবং বলেন সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯(২)(জ) অনুযায়ী ব্যারিস্টার তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এ রকম অভিযোগ প্রকাশের পর ব্যারিস্টার তাপস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করলেও একদিন পর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না। সাঈদ খোকন যেটা বলেছেন, সেটা ওনার ব্যক্তিগত অভিমত। এটার কোনো গুরুত্ব বহন করে না। এছাড়া সাঈদ খোকনের দেওয়া অন্যান্য বক্তব্যও নিছক ভ্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এমন বক্তব্যের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। পাশাপাশি ডিএসসিসির টাকা মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর প্রসঙ্গে তাপস বলেন, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। এখানে আইনেরও কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর মানিকনগরে বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে দেওয়া বক্তব্যে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার ঘোষণা দেন তাপস। তিনি বলেন, 'সাঈদ খোকন ঘটা করে আমার বিরুদ্ধে সভা ডেকে বিষোদ্গার করলেন। আমার কাছে মনে হয় এটা ওনার ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। গত ১৭ মে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান আরম্ভ করেছি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, মার্কেট-সংক্রান্ত কিছু তথ্য সংবাদকর্মীরাই অনুসন্ধান করে বের করেছেন। সেখানে বিভিন্নভাবে টাকা লেনদেন হয়েছে। যাদের সঙ্গে টাকা লেনদেন হয়েছে, যারা লেনদেন করেছেন, তারাই অভিযোগ এনেছেন। আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অথবা আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোভাবেই কোনো অভিযোগ আনিনি। সেখানে যারা অবৈধ ব্যবসায়ী দোকানদার তারা অর্থ লেনদেন করেছেন। এখন তিনি পুরো দোষ আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। সেটা আমি মনে করি খুবই অনভিপ্রেত।? সেটা শুধু ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে তিনি এ বিষয়গুলো তুলে ধরছেন।'
ব্যারিস্টার তাপস আরও বলেন, 'তিনি অবশ্যই মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি। তিনি নিজেকে চুনোপুঁটি দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকার করেছেন। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এটা মানহানিকর হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে পারি। মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তো আইনি ব্যবস্থাই নিতে হবে।'
মেয়রের এ বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মানহানির পৃথক মামলার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়ার আলম এবং কাজী আনিসুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি। রাজধানীর ভূতের গলির বাসিন্দা ব্যবসায়ী কাজী আনিসুর রহমান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়ার আলম গতকাল সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সংক্ষুব্ধ হয়ে পৃথক দুটি আবেদন দাখিল করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী দুই আবেদনকারীর বক্তব্য শুনে আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল মামলার বাদী আইনজীবী সারওয়ার আলম বলেন, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সামনে বর্তমান মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে যে ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তা তাপসের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশে সাঈদ খোকনের এ বক্তব্য মানহানিকর। যে কারণে তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দ বিধির ৫০০ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে বিচারের আবেদন করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে যা আছে: বাদী মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আসামি সাঈদ খোকন গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে জাতীয় ঈদগাহ গেটের সামনে ফুলবাড়িয়া মার্কেটের উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তার বক্তব্যে বলেন, তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন, আমি তাকে বলব রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। কেননা দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম তার নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। তারপর চুনোপুঁটিদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তাপসকে নিছক হয়রানিসহ মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করে দেশ ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত রোববার আসামি সাঈদ খোকনের এই বক্তব্য নিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে আসামি সাঈদ খোকন দণ্ডবিধি আইনের ৫০০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগে আরও জানানো হয়, মামলার বাদী রোববার বিকেল ৫টায় শাহবাগ থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ এজাহার না দিয়ে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামির বিরুদ্ধে দ বিধি ৫০০ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জেলহাজতে আটক রাখার জন্য আবেদন করছি।
আগের মামলা: ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেটে নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গত ২৯ ডিসেম্বর মামলা করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম ৩০ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু।
ভাড়াটিয়া পরিষদ: ফুলবাড়িয়া মার্কেটে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকান ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করার অভিযোগে সাঈদ খোকনের গ্রেপ্তার দাবি করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ। গতকাল সোমবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার।
- বিষয় :
- মুখোমুখি খোকন
- মুখোমুখি তাপস
- তাপস-খোকন
- ডিএসসিসি