উচ্চ মাধ্যমিকে সবাই পাস
জিপিএ ৫ তিন গুণ

করোনাকালে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে মানা। গেট বন্ধ। তার পরও মন কি মানে! ওরা জড়ো হয়েছিল বন্ধ গেটের বাইরেই। শনিবার রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছবি - মাহবুব হোসেন নবীন
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ | ১৬:০০
উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থীরই মুখে এবার হাসি। কারণ, ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ শিক্ষার্থীর সবাই অনায়াসে পার হয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকের চৌকাঠ। দেশের ইতিহাসে কোনো পাবলিক পরীক্ষার এবারই প্রথম শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এবার কলেজ ক্যাম্পাসে আনন্দের বন্যা না বইলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে ঘরে বসেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী এবং তাদের স্বজনরা।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় এই ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের আগের দুটি পাবলিক পরীক্ষার (জেএসসি ও এসএসসি) ফল গড় করে গতকাল শনিবার এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জেএসসির ২৫ শতাংশ ও এসএসসির ৭৫ শতাংশ নম্বর নেওয়া হয়েছে। আর এতে উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এবার এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন সর্বোচ্চ ফল অর্জন করেছেন। ২০১৯ সালের পরীক্ষার্থীদের তুলনায় তা তিন গুণেরও বেশি। সে বছর ৪৭ হাজার ২৮৬ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন।
তবে শতভাগ পাসের পরও কাঙ্ক্ষিত জিপিএ না পেয়ে কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর মনোবেদনা তৈরি হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিংয়ের মারপ্যাঁচে কোনো কোনো শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন। এর আগে পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশে আইন সংশোধন করা হয়। একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের পৌনে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটল। এইচএসসি ও সমমানে গতবার অর্থাৎ ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তার আগের বছর ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এবার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ফল অর্জন ও শতভাগ পাসের কারণে উচ্চশিক্ষায় আসন পেতে তীব্র লড়াই হবে।
গতকাল সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডিজিটালি এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বছরের পর এবার মহামারির মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হলো। বিশেষ পরিস্থিতিতে এভাবে ফল প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে পরীক্ষাহীন এই ফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ফলের চিত্র :এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। সংগত কারণেই এবার পাসের হার ১০০ ভাগ। ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ায় এগিয়ে আছেন মেয়েরা। সব বোর্ডের মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
এবার ঢাকা বোর্ডে ৫৭ হাজার ৯২৬, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ৫৬৮, কুমিল্লায় ৯ হাজার ৩৬৪, যশোরে ১২ হাজার ৮৯২, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, বরিশালে পাঁচ হাজার ৫৬৮, সিলেটে চার হাজার ২৪২, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১০ হাজার ৪০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে চার হাজার ৪৮ এবং কারিগরি বোর্ড থেকে চার হাজার ১৪৫ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েছেন।
'এ' গ্রেড পেলেন ৩৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ:১১টি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন ছাত্রী এবং ছাত্র ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন। সেই হিসাবে উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রদের থেকে চার হাজার ৮৬৯ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
ফল বিশ্নেষণে দেখা গেছে, মহামারিকালে পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ৩৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ 'এ' গ্রেড পেয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিকে অংশ নিতে নিবন্ধন করা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
দেখা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অর্থাৎ চার লাখ ৯৯ হাজার ৭৪০ শিক্ষার্থী 'এ' গ্রেড পেয়েছেন। এছাড়া ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী 'এ মাইনাস', ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী 'বি', ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী 'সি' এবং শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী 'ডি' গ্রেড পেয়েছেন।
মানবিক গুণে গুণান্বিত হও- পরীক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী:শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, সাধারণ ও মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়গুলোকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমান এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার বিষয়গুলোকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রস্তুত হয়েছে ফল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়। সমন্বয়কৃত বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের গড়মানের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর প্রতিস্থাপন করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে জিপিএ চূড়ান্ত করা হয়।
এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রুপ বা বিভাগ পরিবর্তনকারী পরীক্ষার্থী, বোর্ড পরিবর্তনকারী পরীক্ষার্থী, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা পরীক্ষার্থী, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী, মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী, সমতুল্য সনদপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের ফলাফল পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফলাফলে কোনো শিক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হলে রিভিউ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই বোর্ডগুলো তা পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।
পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি মূল্যবোধ তৈরি না হয়, তাহলে শুধু বেশি নম্বর পেয়ে কী হবে, মানবিক গুণে গুণান্বিত হও; চারপাশে তাকাও-মানুষকে ভালোবাসো। নীতি-নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠো, স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হও, নিঃস্বার্থ চিত্তে মানব কল্যাণে নিবেদিত হও।
দীপু মনি অভিভাবকদের প্রতি বলেন, আপনার সন্তানকে অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দেবেন না, স্বার্থপর হিসেবে গড়ে তুলবেন না। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার শিক্ষা যদি আপনার সন্তান না পায়, মনে রাখবেন এ শিক্ষা অর্থবহ হবে না, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা শিক্ষকতা পেশায় আছেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক অনেক বেশি। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে বিষয়ভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে আপনাদের ভূমিকাই প্রধান। মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক তৈরির ক্ষেত্রেও আপনারাই রাখতে পারেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
প্রথমবারের মতো পরীক্ষা ছাড়াই ফল: ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। এরপর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান যুক্ত করে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে আইন সংশোধন করতে হয়। সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সই করার পর তা গেজেট আকারে জারি করে সরকার। এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপরই গতকাল ফল প্রকাশ করা হলো।
উচ্চশিক্ষায় ভর্তিযুদ্ধ তীব্র হবে:শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করায় এবার দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিযুদ্ধ তীব্র হবে। বরাবরের মতো এবারও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন সর্বাধিক। তাই মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে। বেশিরভাগ মেধাবীই এবার কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে উচ্চশিক্ষায় আসনের কোনো সংকট না থাকায় শেষ পর্যন্ত সবারই ভর্তির সুযোগ থাকবে।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান সমকালকে জানান, ২০১৭ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কারিগরিসহ উচ্চশিক্ষায় ভর্তির জন্য আসন রয়েছে ২২ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৯টি। আর ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার পাস করেছেন ১৩ লাখ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। সেই হিসাবে আসন ফাঁকা থাকছে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ২২টি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলে আসন রয়েছে ৪৬ হাজার ৭৪৪ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৪২টি। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৫৩ হাজার ১৪৮টি আসন রয়েছে। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সর্বাধিক ১৯ লাখ ৫৬৫টি আসন। ফলে দেশে উচ্চশিক্ষায় আসনের কোনো সংকট নেই।
উচ্চ মাধ্যমিকের গি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পা রাখতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবার শুধু বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ২৩ হাজার ৬২০ জন। অথচ দেশে মেডিকেল ও প্রকৌশল মিলিয়ে মোট আসন রয়েছে মাত্র সাড়ে ১৬ হাজার। ফলে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই অন্যত্র পড়তে বাধ্য হবেন।
ফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন আজ থেকেই:গতকাল শনিবার প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে যারা খুশি হতে পারেননি, তারা আজ রোববার থেকে ফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করতে পারবেন।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে জানিয়ে গতকাল নোটিশ জারি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। শুধু টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল থেকে ফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। ম্যানুয়ালি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। রিভিউ আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডে নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে পিন নম্বর দেওয়া হবে। এরপর মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য যে কোনো অপারেটরের মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ১২৫ টাকা করে ফি দিতে হবে।
- বিষয় :
- রাজউক
- উচ্চ মাধ্যমিক
- করোনাকাল
- সবাই পাস