কয়লাভিত্তিক ১০ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ - ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১ | ০১:৫৭ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ | ০৫:২৩
কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার দুপুরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বাতিল হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৭১১ মেগাওয়াট।
বাতিলের তালিকায় থাকা এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে- পটুয়াখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, উত্তরবঙ্গ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্লান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা ২৮২ পটুয়াখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, উত্তরবঙ্গ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্লান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেষখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেষখালী (২) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকা অঞ্চলের ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে মোট ৮০৪ মেগাওয়াট, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে মোট ৪ হাজার ৬৩২ মেগাওয়াট, বরিশাল অঞ্চলের ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে মোট ১ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, রংপুর অঞ্চলের ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ও খুলনা অঞ্চলের ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ৫৬৫ মেগাওয়াটসহ মোট ১০টি প্রকল্প বাদ যাওয়ায় ২০৩০ সালে এ অঞ্চলসমূহের নেট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট হ্রাস পাবে।
ফলে ২০৩০ সালে ঢাকা অঞ্চলে ৩ হাজার ৩৯৭ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১ হাজার ২২৫ মেগাওয়াট ও রংপুর অঞ্চলে ৬৫৩ মেগাওয়াটসহ মোট ৫ হাজার ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে।
সেক্ষেত্রে জাতীয় গ্রিড হতে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রংপুর অঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদার ঘাটতি সমন্বয় করা হবে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৬ হাজার ৯৫৪ মেগাওয়াট, কুমিল্লা অঞ্চলে ৮০৩ মেগাওয়াট, সিলেট অঞ্চলে ৪৩২ মেগাওয়াট, খুলনা অঞ্চলে ২ হাজার ৬০ মেগাওয়াট, বরিশাল অঞ্চলে ৬ হাজার ১৭২ মেগাওয়াট ও রাজশাহী অঞ্চলে ২ হাজার ১৬৭ মেগাওয়াটসহ মোট ১৮ হাজার ৫৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা উদ্বৃত্ত থাকবে।
এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল হওয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সেগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ পাবো তা দিয়েই ২০৩০ পর্যন্ত চাহিদা মিটবে৷ ফলে বাতিল প্রকল্পগুলোর তেমন প্রভাব পড়বে না৷’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বাড়াতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সাশ্রয়ি রাখতে হবে। কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ এখনও বেশি, জমিও বেশি লাগে। যদিও নেট মিটারিং সিষ্টেম কিছুটা খরচ সাশ্রয় করবে ।‘
নসরুল হামিদ জানান, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। বিদ্যুৎ উৎপাদনে এলএনজি-এর ব্যবহারও বাড়তে পারে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।