ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ গণমাধ্যমকর্মী

পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ গণমাধ্যমকর্মী

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১ | ০৭:২০ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১ | ০৮:২৪

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ পেয়েছেন দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাজিদা ইসলাম পারুলসহ ১১জন গণমাধ্যমকর্মী।

রোববার অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নির্বাচিত গণমাধ্যমকর্মীকে প্রতীকী ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আইইসি অপারেশনাল প্ল্যানের ২০২১ সালের পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও নবজাতক স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা ইস্যু বিষয়ক লেখালেখির জন্য প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইনের ১১ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পাবেন। 

পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের সাব-এডিটর রিতা ভৌমিক, দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রহিম শেখ, ডেইলি স্টারের নিলিমা জাহান, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেল (হাসান সোহেল), দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের কুমিল্লা প্রতিনিধি ইয়াসমিন রীমা এবং ডেইলি ময়নামতির মো. ইমদাদ উল্লাহ।

এছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া পুরষ্কার পান চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার জিনিয়া কবির সূচনা, ডিবিসি টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার তাহসিনা সাদেক জেসি, বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াউল হক সবুজ ও রেডিও টুডে’র সাখাওয়াত সুমন। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের  আইইএম ইউনিটের পরিচালক আমির হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা ঢাকা বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তবে শহরের তুলনায় বর্তমানে সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলেই বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। আর গ্রামের মানুষ করোনাকে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি ভাবছে। রোগীর পরিস্থিতি জটিল হলেই হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু ততক্ষণে আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকছে না। ’

জাহিদ মালেক জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পারিবারিক কলহ এবং শিশুদের প্রতি অবহেলা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বাল্যবিবাহ।
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল, এখন সেটা এক দশমিক ৩ শতাংশ। অনেক কমেছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণ ব্যবহারের হার আগে ছিল ৮ শতাংশ। এটা এখন প্রায় ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা আমরা আরও বেশি আশা করি। এই করোনার মধ্যেও আমাদের কর্মীরা বিতরণের কাজটি অব্যাহত রেখেছে। ’

করোনা মহামারি বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, ‘অধিকার ও পছন্দই মূলকথা: প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাঙ্ক্ষিত জন্মহারে সমাধান মেলে।’

আরও পড়ুন

×