সিরিজ বোমা হামলার ১৬ বছর
সংগঠনকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার ছক জেএমবির

সাহাদাত হোসেন পরশ
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২১ | ১৩:২১
সিরিজ বোমা হামলার ১৬ বছর পর আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বহুল আলোচিত পুরোনো জেএমবি। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভারতেও গোপন ও সংঘবদ্ধ তৎপরতা চালাচ্ছে সংগঠনটির একাংশ। ভারতে জামায়াতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া বা জেএমআই নামে গোপনে তৎপর রয়েছে এ অংশটি।
প্রসঙ্গত, আশির দশকের শেষ ভাগে বাংলাদেশে তৎপরতা শুরু করেছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ। এর পরপরই এখানে জঙ্গিবাদী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। যার প্রতিষ্ঠাতা আমির ছিলেন শায়খ আবদুর রহমান। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৫০০টি স্পটে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে জেএমবি। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) আদর্শে বিশ্বাসী দাবি করে আবির্ভূত হয় আরেকটি জঙ্গি সংগঠন। নতুন এ সংগঠনটি নব্য জেএমবি নামে এবং আবদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি পুরোনো জেএমবি হিসেবে পরিচিতি পায়।
পরিচালিত হচ্ছে যেভাবে : বর্তমানে পুরোনো জেএমবির নেতৃত্বে রয়েছেন পলাতক দুর্ধর্ষ জঙ্গি সালাহ উদ্দিন ওরফে সালেহীন। এটি নিশ্চিতভাবে কারোরই জানা নেই যে, তিনি কোথায় অবস্থান করছেন। জেএমবির তৎপরতার অনুসন্ধানে যুক্ত একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পুরোনো জেএমবির আগের মতো বড় ধরনের কোনো হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই। কারণ তাদের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আবার অনেকের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। নতুন রিক্রুটমেন্টের সক্ষমতাও হারিয়েছে সংগঠনটি। তবে জেএমবির সাংগঠনিক কাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েনি। অনুসারী, সমর্থক ও সদস্য মিলে এখনও তাদের ৫০০-এর বেশি কর্মী রয়েছে। তাদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা তোলা হয়। যার একটি অংশ দেওয়া হয় কারাবন্দি শীর্ষ নেতা ও সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের।
কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে সদস্য ও সমর্থকদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা তোলা ছাড়াও বড় বড় ডাকাতি করে তহবিল সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়েছিল জেএমবি। এ পর্যায়ে সাভারসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ব্যাংক ডাকাতি করে সংগঠনটির জঙ্গি সদস্যরা। ২০১৮ সালে মুন্সীগঞ্জে লেখক, প্রকাশক, কবি ও মুক্তমনা ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু হত্যার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুরোনো জেএমবির ডাকাত গ্রুপের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য পান গোয়েন্দারা। পুরোনো জেএমবির এই সদস্যরা উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসের পাশাপাশি সংগঠনের অর্থ তহবিল সংগ্রহে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
ধরাছোঁয়ার বাইরে সালেহীন : এক কর্মকর্তা জানান, সালেহীনের আগে কিছুদিনের জন্য জেএমবির আমির ছিলেন রেজা। মাস ছয়েক আগে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এখন সবচেয়ে দুশ্চিন্তার নাম পলাতক দুই শীর্ষ জেএমবি নেতা সালেহীন ও সামরিক শাখার প্রধান আহনাছ। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিনদুপুরে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। গুলি ও বোমা ফাটিয়ে জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারা হলেন- সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান এবং রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ। পরে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন রাকিব হাসান। আর বোমা মিজান ভারতে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু সালেহীন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন।
২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলাভাইসহ সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের অনেকে গ্রেপ্তার হন। ২০০৭ সালে শায়খ আবদুর রহমানসহ ছয় শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সংগঠনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হন। ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন সাইদুর।
বিশ্নেষক ও কর্মকর্তাদের অভিমত : এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, ভূরাজনৈতিক কারণে অনেক সময় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে ব্যবহার করা হয়। আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়কে জঙ্গিরা নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে। এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে নিরাপদ কৌশল নিতে হবে। জেএমবি বা অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠন যাতে দেশে বা বাইরে থেকে কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না পায়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ উপযুক্ত পরিবেশ পেলে লুকিয়ে থাকা বা নিশ্চুপ উগ্রপন্থিরা যে কোনো সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জেএমবিসহ অন্যসব উগ্রপন্থি সংগঠনকে ঘিরে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। জঙ্গিরা যাতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সাইবার জগতেও নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, পুরোনো জেএমবি যাতে আগের মতো শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় অভিযানের কারণে তাদের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে গেলেও পুলিশ আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সতর্ক রয়েছে।
পূর্ব প্রসঙ্গ : ১৯৯৮ সালে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার পর ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রক্সি সিনেমা হল ও সার্কাস মাঠে প্রথম বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এরপর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ৪০টি হামলা পরিচালনা করে সংগঠনটি। এসব হামলায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। জেএমবির হামলার মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহে সিনেমা হলে এবং নাটোরে বোমা হামলা। এ ছাড়া ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায় সংগঠনটি। ২০১৪ সালে ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাই করে জেএমবির সদস্যরা। ২০১৫ সালে রাজধানীর হোসেনী দালান ও শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে বোমা হামলার জন্যও জেএমবিকে দায়ী করে থাকেন গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, আশির দশকের শেষ ভাগে বাংলাদেশে তৎপরতা শুরু করেছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ। এর পরপরই এখানে জঙ্গিবাদী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। যার প্রতিষ্ঠাতা আমির ছিলেন শায়খ আবদুর রহমান। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৫০০টি স্পটে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে জেএমবি। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) আদর্শে বিশ্বাসী দাবি করে আবির্ভূত হয় আরেকটি জঙ্গি সংগঠন। নতুন এ সংগঠনটি নব্য জেএমবি নামে এবং আবদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি পুরোনো জেএমবি হিসেবে পরিচিতি পায়।
পরিচালিত হচ্ছে যেভাবে : বর্তমানে পুরোনো জেএমবির নেতৃত্বে রয়েছেন পলাতক দুর্ধর্ষ জঙ্গি সালাহ উদ্দিন ওরফে সালেহীন। এটি নিশ্চিতভাবে কারোরই জানা নেই যে, তিনি কোথায় অবস্থান করছেন। জেএমবির তৎপরতার অনুসন্ধানে যুক্ত একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পুরোনো জেএমবির আগের মতো বড় ধরনের কোনো হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই। কারণ তাদের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আবার অনেকের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। নতুন রিক্রুটমেন্টের সক্ষমতাও হারিয়েছে সংগঠনটি। তবে জেএমবির সাংগঠনিক কাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েনি। অনুসারী, সমর্থক ও সদস্য মিলে এখনও তাদের ৫০০-এর বেশি কর্মী রয়েছে। তাদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা তোলা হয়। যার একটি অংশ দেওয়া হয় কারাবন্দি শীর্ষ নেতা ও সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের।
কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে সদস্য ও সমর্থকদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা তোলা ছাড়াও বড় বড় ডাকাতি করে তহবিল সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়েছিল জেএমবি। এ পর্যায়ে সাভারসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ব্যাংক ডাকাতি করে সংগঠনটির জঙ্গি সদস্যরা। ২০১৮ সালে মুন্সীগঞ্জে লেখক, প্রকাশক, কবি ও মুক্তমনা ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু হত্যার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুরোনো জেএমবির ডাকাত গ্রুপের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য পান গোয়েন্দারা। পুরোনো জেএমবির এই সদস্যরা উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসের পাশাপাশি সংগঠনের অর্থ তহবিল সংগ্রহে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
ধরাছোঁয়ার বাইরে সালেহীন : এক কর্মকর্তা জানান, সালেহীনের আগে কিছুদিনের জন্য জেএমবির আমির ছিলেন রেজা। মাস ছয়েক আগে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এখন সবচেয়ে দুশ্চিন্তার নাম পলাতক দুই শীর্ষ জেএমবি নেতা সালেহীন ও সামরিক শাখার প্রধান আহনাছ। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিনদুপুরে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। গুলি ও বোমা ফাটিয়ে জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারা হলেন- সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান এবং রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ। পরে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন রাকিব হাসান। আর বোমা মিজান ভারতে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু সালেহীন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন।
২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলাভাইসহ সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের অনেকে গ্রেপ্তার হন। ২০০৭ সালে শায়খ আবদুর রহমানসহ ছয় শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সংগঠনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হন। ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন সাইদুর।
বিশ্নেষক ও কর্মকর্তাদের অভিমত : এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, ভূরাজনৈতিক কারণে অনেক সময় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে ব্যবহার করা হয়। আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়কে জঙ্গিরা নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে। এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে নিরাপদ কৌশল নিতে হবে। জেএমবি বা অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠন যাতে দেশে বা বাইরে থেকে কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না পায়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ উপযুক্ত পরিবেশ পেলে লুকিয়ে থাকা বা নিশ্চুপ উগ্রপন্থিরা যে কোনো সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জেএমবিসহ অন্যসব উগ্রপন্থি সংগঠনকে ঘিরে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। জঙ্গিরা যাতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সাইবার জগতেও নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, পুরোনো জেএমবি যাতে আগের মতো শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় অভিযানের কারণে তাদের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে গেলেও পুলিশ আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সতর্ক রয়েছে।
পূর্ব প্রসঙ্গ : ১৯৯৮ সালে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার পর ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রক্সি সিনেমা হল ও সার্কাস মাঠে প্রথম বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এরপর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ৪০টি হামলা পরিচালনা করে সংগঠনটি। এসব হামলায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। জেএমবির হামলার মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহে সিনেমা হলে এবং নাটোরে বোমা হামলা। এ ছাড়া ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায় সংগঠনটি। ২০১৪ সালে ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাই করে জেএমবির সদস্যরা। ২০১৫ সালে রাজধানীর হোসেনী দালান ও শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে বোমা হামলার জন্যও জেএমবিকে দায়ী করে থাকেন গোয়েন্দারা।
- বিষয় :
- সিরিজ বোমা হামলা