ঢাবিতে জাতীয় কবির ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
নানা আয়োজনে ঢাবিতে জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১ | ০৫:৩৭ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২১ | ০৬:৪৭
যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, কোরানখানি এবং ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশিষ্ট নজরুল বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা ও সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং তার সৃষ্টিকর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত হতেন। তাই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কবিকে বাংলাদেশে এনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেন। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার মাধ্যমে বাংলা কবিতার মোড় পরিবর্তন ঘটে। যতদিন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থাকবে ততদিন কবি নজরুল তার বিদ্রোহী কবিতার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্মকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, তিনি আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তার প্রাসঙ্গিকতা সবসময় রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সাম্য ও প্রেমের কবি কাজী নজরুলের দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে। তাই তার চেতনা ও দর্শন চিরঞ্জীব ও চির অম্লান।
উপাচার্য অমর কাব্যের কবি কাজী নজরুলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুলকে এদেশে নিয়ে আসা, তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান এবং জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তাকে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন।
কবি নজরুলকে আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিশের দশকে অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কবি নজরুলের অসাধারণ যোগসূত্র ছিল। উপাচার্য নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টি সমূহের নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
