হাইকোর্টের নির্দেশ
হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিন

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২১ | ০৯:১৩ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১ | ০৯:১৫
হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্নিষ্ট ২১ জনকে এই রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিন ও খান ফাতিম হাসান এ রিট দায়ের করেন। রিটে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত ১২টি করিডোর সংরক্ষণেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মারা গেছে ৪৩টি হাতি। যার মধ্যে ১৬টি চট্টগ্রামে এবং বাকিগুলো বান্দরবান ও কক্সবাজারে। এসব হাতির মধ্যে ১৯টি অসুস্থতাজনিত কারণে, পাঁচটি বার্ধক্যজনিত এবং অন্যগুলো মানবসৃষ্ট কারণে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে ডুবে কিংবা পাহাড় থেকে পড়েও বেশ কিছু হাতির মৃত্যু হয়েছে।
বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এ তিন বছরে ৯টি হাতি মারা হয়েছে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে। যার মধ্যে চারটি চট্টগ্রামে, একটি বান্দরবানের লামায় ও বাকি চারটি হাতি হত্যা করা হয়েছে কক্সবাজারে।
আইইউসিএন জরিপ অনুযায়ী, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বন্য হাতির সংখ্যা ছিল ২৬৮টি। ব্যক্তিমালিকানাধীন ৮২টি, চিড়িয়াখানায় তিনটি ও দেশের দুটি সাফারি পার্কে ১১টি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কিছু হাতির প্রজনন হয়েছে বলেও মনে করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এমন প্রেক্ষাপটে সমকালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে হাতির করিডোর রক্ষায় গত রোববার হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
- বিষয় :
- হাতি হত্যা
- হাইকোর্ট বেঞ্চ
- হাইকোর্ট