ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় চবি উপাচার্য, ‘তিনদিন ঘুমাতে পারিনি’

ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় চবি উপাচার্য, ‘তিনদিন ঘুমাতে পারিনি’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২২ | ১০:০৪ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২ | ১০:০৪

‘নিয়োগ-বাণিজ্য’ নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য শিরীণ আখতার  জানিয়েছেন, এ ঘটনা জানার পর মানসিকভাবে তিনি খুব বিপর্যস্ত ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া ফোনালাপ শুনে তিনদিন ঘুমাতে পারেননি তিনি। শনিবার ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে উল্লেখিত দুর্নীতিতে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে উপাচার্য শিরীণ আখতার এসব কথা জানান। 

উপাচার্য জানান, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এ ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গত ২ মার্চ এ বিষয়টি জানাজানি হলে সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

সংবাদ সম্মেলন উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, ‘অডিও ক্লিপটির ব্যাপারে জানার পর আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। তিনদিন ঘুমাতে পারিনি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন হতে পারে তা আমি ভাবতেও পারি না। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যার প্রভাব আমার এবং আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর পড়ছে। এ ঘটনায় জড়িত সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।  আমরা দুই মাস আগে জানার পরই জিডি করেছিলাম। বিষয়টি প্রকাশ করিনি যেনো জড়িতরা সর্তক হতে না পারে। রবিনকে (উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিসবাহুল মোকর রবিন) সঙ্গে সঙ্গে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত কমিটি বিষয়টি আরও গভীরভাবে দেখবেন। প্রয়োজনে আমরা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা নেব।’

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে উপাচার্যের ভাতিজার জড়িত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ভাতিজা পাস করে গেছে অনেক আগে। সে তো এখানে চাকরিও করে না। তবুও আমি তাকে ফোন করেছিলাম। সে এদের কাউকে চেনেও না। তবুও সে কোনোভাবে জড়িত থাকলে শাস্তি পাবে।’

ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য নিয়ে দুই মাস আগে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিসবাহুল মোকর রবিন ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনের তিনটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপে নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বিষয়টি গত বুধবার জানাজানি হলে খালেদ মিসবাহুলকে ব্যক্তিগত সহকারীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। 

এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ৫৩৭ তম সভায় ফার্সি বিভাগের নিয়োগ বাতিল করা হয়। তবে এসব বির্তকের মাঝে ৮ বিভাগে ২৪ জন নিয়োগ পেয়েছেন। রোববার নিয়োগ প্রাপ্তদের চিঠি পাঠিয়েছেন উপাচার্য।

আরও পড়ুন

×