মেধাবী মুখ
রুটিনমাফিক পড়ার অভ্যাস করতে হবে

আবির দে অনয়
প্রত্যয় নিশান
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪ | ০০:৩৮
চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব, আর একাগ্রতা নিয়ে পড়াশোনা করলে সফলতা আসবেই– এমনটি মনে করেন আবির দে অনয়। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েট-কুয়েট-রুয়েট গুচ্ছ, বুটেক্স, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইএসটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটে মেধাতালিকায় প্রথম দিকে আছেন। পরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। অনয়ের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়, বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বাবা বেসরকারি কর্মকর্তা, মা গৃহিণী। তিনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিল থেকে জিপিএ৫ পেয়ে মাধ্যমিক, পরে নটর ডেম কলেজ থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিসহ জিপিএ৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অভিজ্ঞতা
ইচ্ছে ও স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়া। সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম। মেডিকেলে প্রথমে পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাইনি। অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়ি। যদিও মেডিকেলে আমার প্রস্তুতি তেমন ভালো ছিল না। পরে মা-বাবা, শিক্ষকরা আমাকে সাহস জোগান। আশান্বিত হতে থাকি। এর পর যেখানেই পরীক্ষা দেই, সব খানেই সুযোগ পেয়ে যাই এবং মেধাতালিকায় প্রথম দিকে থাকি।
সফলতা পেতে হলে
যারা আগামীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে তাদের উদ্দেশে অয়ন বলেন, প্রথম পরামর্শ পড়াশোনা রেগুলার করতে হবে। পড়াশোনাতে কোনো রকম গ্যাপ দেওয়া যাবে না। রেগুলার পড়াটা খুব কাজে দেয়। বেশি ঘণ্টা পড়তে হবে তা নয়। নিয়মিত রুটিন মাফিক পড়তেই হবে। এ জন্য দরকার নিজের চেষ্টা। তারপর এগিয়ে যেতে হবে গন্তব্যে। ভর্তিযুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রথমেই দরকার একটি সুন্দর পরিকল্পনা। যথার্থ পরিকল্পনার অভাবে অনেকের ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শেষমেশ হতাশ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর কী স্বপ্ন দেখছেন, কী লক্ষ্য নির্ধারণ করছেন ও কোথায় ভর্তি হচ্ছেন– সেটার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য যতটা একাগ্রচিত্তে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে, ততই ভালো ফল পাওয়ার নিশ্চয়তা বেড়ে যায়। না বুঝে মুখস্থ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে বুঝে পড়তে হবে এবং সময়ের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধানের পাশাপাশি সেখান থেকে ধারণা নিয়ে প্রতিদিন অনুশীলন করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। v
- বিষয় :
- গুচ্ছ পদ্ধতি