হোস্টেলে হাবিপ্রবি ছাত্রের লাশ, বিচার চাইলেন বাবা-মা

ছবি- সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২২ | ১০:২৬ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২২ | ১০:২৬
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ছাত্র মিজানুর রহমান পলাশকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনেরা। এই ‘হত্যাকাণ্ডের’ সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বাবা ও মা। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।
মিজানুর হাবিপ্রবির ফুড অ্যান্ড প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসের অদূরে ‘ব্লু মুন স্টুডেন্ট হাউস’ নামের একটি হোস্টেলের দ্বিতীয় তলায় ২০২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। গত ১৮ মার্চ সেখান থেকে তার ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুরের বাবা মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ১৮ মার্চ আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় মিজানুরের বন্ধু ফোন করে। ফোনে সে জানায়, মিজান ফোন ধরছে না, রুমে হৈচৈ হচ্ছে। তাই তাড়াতাড়ি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। তবে ফোনে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেওয়া হচ্ছিল। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একজন ডিবি পরিচয়ে মিজানুর রহমানের অবস্থা ভালো না জানিয়ে ফোন দিয়ে দ্রুত দিনাজপুরে হাসপাতালে যেতে বলেন। তিনি দিনাজপুরে গিয়ে ছেলের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পান।
তিনি বলেন, মর্গে ছেলের হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। কিন্তু সবাই বলছিল ছেলে সুইসাইড করেছে। রুমের দরজা ভেঙে ওকে বের করা হয়েছে। যদিও একটা মানুষ সুইসাইড করলে গলাতে যেভাবে দাগ থাকার কথা, সেটা তারা পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুরের মা হাছিনা পারভীন দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের গবেষণাগারে ঝামেলা নিয়ে তার ছেলেকে দুই সহপাঠী দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথাও বলেছিল। এর জেরেই তার ছেলেকে হত্যা করে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি মোফাজ্জল হোসেন সমকালকে বলেন, আদালতে করা মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আত্মহত্যা বলা হলেও ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি স্পর্শকাতর বিবেচনায় পুলিশ অধিকতর তদন্ত করছে।