'বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারে বরাদ্দ বাড়াতে হবে'

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২২ | ১২:০০
বন্যা-পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারসহ এ খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজন। তাঁরা বলেছেন, বন্যার সময় ও বন্যা-পরবর্তীতে খাদ্য, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও শিক্ষা খাতের ক্ষতি বা বন্যা-পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সেভাবে কোনো আলোচনা বা উদ্যোগ চোখে পড়ে না। অথচ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী আর পুরো শিক্ষা খাত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন্যা-পরবর্তী শিক্ষা খাতের দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে করণীয় ও বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে এ সব সুপারিশ উঠে আসে। 'আমাদের শিক্ষা বাজেটের গতিপ্রকৃতি ও আগামীর প্রত্যাশা' শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আরমা দত্ত এমপি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান দীপা সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার শিক্ষা খাতের কাঠামোগত পরিবর্তনে। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। এক সময় মুখস্থ বিদ্যার ওপর জোর দেওয়া হলেও এখন পঠন ও শিখনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো কোনো ব্যয় নয়, বরং এটিই বড় বিনিয়োগ। বাজেটে শিক্ষা খাত কিংবা সরকারের ব্যয় না বাড়ানো হলেও অভিভাবক বা পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষা খাতে ব্যয় ঠিকই বাড়ছে। অনেক পরিবার আছে যারা সন্তানের ব্যয় মেটাতে না পেরে পড়ালেখা বন্ধ করে দিচ্ছে। এ সময় তিনি কোচিং-নির্ভরতা ও বইয়ের বোঝা কমানোর দাবি জানান।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ বাড়লেই যে শিক্ষার মানের উন্নয়ন হবে, বিষয়টি এমন নয়। আবার শিক্ষার গুণগত মান রক্ষায় কম বরাদ্দ নিয়েও কাজ করা যায় না। প্রাথমিকে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পটি চালু রাখার বিষয়ে দাতা সংস্থার সঙ্গে সরকারও কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান দীপা সরকার বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা খাতের বিভিন্ন প্রকল্প সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের অংশীজনের সমন্বয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন্যা-পরবর্তী শিক্ষা খাতের দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে করণীয় ও বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে এ সব সুপারিশ উঠে আসে। 'আমাদের শিক্ষা বাজেটের গতিপ্রকৃতি ও আগামীর প্রত্যাশা' শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আরমা দত্ত এমপি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান দীপা সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার শিক্ষা খাতের কাঠামোগত পরিবর্তনে। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। এক সময় মুখস্থ বিদ্যার ওপর জোর দেওয়া হলেও এখন পঠন ও শিখনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো কোনো ব্যয় নয়, বরং এটিই বড় বিনিয়োগ। বাজেটে শিক্ষা খাত কিংবা সরকারের ব্যয় না বাড়ানো হলেও অভিভাবক বা পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষা খাতে ব্যয় ঠিকই বাড়ছে। অনেক পরিবার আছে যারা সন্তানের ব্যয় মেটাতে না পেরে পড়ালেখা বন্ধ করে দিচ্ছে। এ সময় তিনি কোচিং-নির্ভরতা ও বইয়ের বোঝা কমানোর দাবি জানান।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ বাড়লেই যে শিক্ষার মানের উন্নয়ন হবে, বিষয়টি এমন নয়। আবার শিক্ষার গুণগত মান রক্ষায় কম বরাদ্দ নিয়েও কাজ করা যায় না। প্রাথমিকে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পটি চালু রাখার বিষয়ে দাতা সংস্থার সঙ্গে সরকারও কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান দীপা সরকার বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা খাতের বিভিন্ন প্রকল্প সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের অংশীজনের সমন্বয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- বন্যা
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- বরাদ্দ