ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়ার বিষয়টি ‘রাজনৈতিক ও সেনসেটিভ’: ডিএসসিসি প্রশাসক

নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়ার বিষয়টি ‘রাজনৈতিক ও সেনসেটিভ’: ডিএসসিসি প্রশাসক

ডিএসসিসি প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫ | ২৩:৩৯

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনে সেবাগ্রহীতাদের সমস্যা হচ্ছে। যেভাবেই হোক নাগরিক সেবাদান সচল রাখতে তারা চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেন দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।

তবে তিনি নগর ভবন খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি উত্তর দিতে চাই না। এটি রাজনৈতিক বিষয়, সেনসেটিভ বিষয়, আইনগত বিষয়।’

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। একইসঙ্গে তারা নগর ভবনের মূল ফটকসহ বেশ কয়েকটি ভবনে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন গত ১৫ মে থেকে৷ যার ফলে সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিকরা। 

নগর ভবনে তালা থাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ প্রস্তুতিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে সেই ত্রুটি আমরা অন্যভাবে ম্যানেজ করে নিয়েছি। সিটি করপোরেশনের সবাই এখন প্রস্তুত। তারা প্রতিবছরই বর্জ্য অপসারণে সার্ভিস দেয়। জনগণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এবারও সবাই কাজে যোগ দেবেন। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’

নগর ভবনের তিনটি ডিপার্টমেন্ট অফিস করতে পারছে জানিয়ে প্রশাসক আরও বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভাণ্ডার এবং পরিবহণ- এ তিনটি বিভাগ ঈদ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। এ বিভাগগুলো কাজ করতে পারছে। কাজেই এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। আমি সচিবালয়ে অফিস করছি। আমার কর্মকর্তারা আমার কাছে আসেন, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নেন। আমাদের সমস্যা হচ্ছে না।’

দক্ষিণ সিটির সেবাগ্রহীতাদের জন্মনিবন্ধনে সমস্যা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ড অফিসগুলো খোলা আছে। তারা সেখান থেকে সেবা নিতে পারছেন। তবে কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছেই। আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসির প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবেন।

আরও পড়ুন

×