ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

১৫ দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে ‘তথ্য আপা’রা

রাজস্ব খাতে স্থানান্তর দাবি

১৫ দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে ‘তথ্য আপা’রা

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫ | ০৫:২৩

রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে ১৫ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। দাবি না মানা হলে আবারও সারাদেশের কর্মীদের রাজধানীতে এনে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

গত ২৮ মে থেকে আন্দোলনে রয়েছেন তারা। গত শনিবার ঈদুল আজহার দিনও ছিলেন। ঈদের পরদিন সকাল ৯টা থেকে আবারও অবস্থান নেন। শতাধিক কর্মী বিভিন্ন দাবিসংবলিত ব্যানার সাঁটিয়ে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ প্রকল্পটি (দ্বিতীয় পর্যায়) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত। সম গ্রেডে পদ তৈরি করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও কর্তন করা বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের দাবি তাদের।

এর আগে দাবি আদায়ে ১ জুন কয়েক দফা বাধা অতিক্রম করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা। প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিকেলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় ধস্তাধস্তি হয়। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গেলেও পরক্ষণে ছেড়ে দেয়।

ঈদের আগে থেকে আন্দোলনে থাকা সঙ্গীতা সরকার বলেন, আমরা সরকারের কাছে দয়া ভিক্ষা চাচ্ছি না। আমাদের এই দাবি ন্যায্য। প্রিয়জনদের ফেলে ঈদের দিন এখানে মেয়েরা থাকল, সরকারের পদস্থ কেউ আমাদের দেখতে এলেন না। এটা কতটা কষ্টের, বলে বোঝানো যাবে না।

আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে মাসে কর্মকর্তাদের থেকে ২ হাজার ৪০০ ও সহকারীদের বেতন থেকে ১ হাজার ৩৯০ টাকা কেটে নেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাবি পূরণের অগ্রগতি না দেখে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলন করেন। তখন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাঝে তিন মাস পার হলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তথ্য আপা কর্মীদের ভাষ্য, অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পে যোগ দেন তারা। ৪৯২ উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দু’জন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।

তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন দেড় হাজার কর্মী। সর্বশেষ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের। কর্মীদের দাবি, প্রকল্পটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছিল বলে এই সরকার তা দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

×