ইএমকে সেন্টারের বসন্ত উৎসব উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৫:০৯
বসন্তের প্রথম দিনে ইএমকে সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ যৌথভাবে বসন্ত উৎসব ১৪২৭ উদযাপন করেছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সিনেটর কেনেডির রোপণ করা সেই বটগাছটির সামনে, ইএমকে সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আসছে। তবে এ বছর কোভিড ১৯ মহামারির কারণে সামাজিক দুরত্ব ও সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইএমকে সেন্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের পরিবর্তে অনুষ্ঠানটি ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজন করে। তবে ইএমকে সেন্টারের ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকেও অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা অতিথির উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তার উদ্বোধনী বক্তব্যে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও এই উদযাপনের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অংশের শুরুতে বসন্ত 'এলো এলো এলো রে' গানের সাথে নৃত্য উপস্থাপন করেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর সঙ্গীতভিত্তিক সংগঠন সুরের ধারার পক্ষ থেকে সংগীত পরিবেশনা করা হয়। পাশাপাশি নৃত্যশিল্পীরাও বসন্তের গানের তালে তালে তাদের নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, ইএমকে সেন্টার ঠিক সিনেটর কেনেডির রোপণ করা বটগাছটির মত বন্ধুত্ব, সহনশীলতা ও প্রত্যাশার উদাহরণ।
ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহ্মদ সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শেষভাগে বাংলাদেশি ব্যান্ড একতারা সঙ্গীত পরিবেশনা করে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের চার মাসের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু মার্কিন নাগরিকদের সাথে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হয় যুদ্ধ চলাকালেই। যার ধারাবাহিকতায়, ১৯৭২ সালে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন। তিনি বিশ্বাস করতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি সরকারের সাথে সরকারের নয়, বরং মানুষের সাথে মানুষের, বন্ধুর সাথে বন্ধুর এবং নাগরিকের সাথে নাগরিকের। সেই সম্পর্ক কোনো শক্তি কখনো নষ্ট করতে পারবে না। বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে তিনি ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন প্রাঙ্গনে একটি বটগাছ রোপণ করেন যা আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
- বিষয় :
- বসন্ত উৎসব
- ইএমকে সেন্টার