বেইলি রোড ট্র্যাজেডি
কাচ্চি ভাইয়ের মালিক গ্রেপ্তার, ২ দিন রিমান্ডে

গ্রীন কোজি কটেজে আগুনের ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪ | ২০:১৫
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রীন কোজি কটেজে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাচ্চি ভাইয়ের মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার সন্ধ্যায় সিআইডির মুখপাত্র আজাদ রহমান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বেইলি রোড ট্রাজেডিতে অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে নিয়ে এসে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।
আজাদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সোহেল সিরাজ। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডিতে হস্তান্তর করেছে। বুধবার তাকে আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিআইডি। পরে শুনানি শেষে তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
জানা যায়, বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করছিলেন সোহেল সিরাজ। বুধবার সকালে দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে গ্রেপ্তার হন– চা-কফির দোকান চুমুক রেস্তোরাঁর দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন, কাচ্চি ভাইয়ের বেইলি রোড শাখার ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান ও গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল। গ্রেপ্তার চারজনের বাইরে এজাহারে আসামির তালিকায় আসা বাকি দুইজন হলেন- আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী এবং কাচ্চি ভাইয়ের মালিক সোহেল সিরাজ। এর মধ্যে সোহেল গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাত হিসেবে ফায়ার সার্ভিস জানায়, আটতলা গ্রিন কোজি কটেজের নিচতলায় অবস্থিত ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগৃহীত একটি ভিডিওকে তদন্তের বড় আলামত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভবনটির নিচতলায় চা-কফির দোকান ‘চুমুক’, জুসের দোকান শেকহোলিক, মোবাইল ফোনের দোকান গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, স্যামসাংসহ আটটি দোকান ছিল। দ্বিতীয়তলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাইয়ের’ শাখা। তৃতীয় তলায় ছিল পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েনের বিক্রয়কেন্দ্র। চতুর্থ তলায় রেস্তোরাঁ ‘খানা’স’ ও ‘ফুওকো’, পঞ্চমতলায় রেস্তোরাঁ ‘পিৎজা ইন’, ষষ্ঠ তলায় রেস্তোরাঁ ‘জেস্টি জুস বার’, ‘স্ট্রিট ওভেন’ ও পোশাক ব্র্যান্ড ‘ক্লোজেস্ট ক্লাউড’ ও সপ্তম তলায় ছিল রেস্তোরাঁ ‘হাক্কা ঢাকা’ ও ‘অ্যামব্রোসিয়া’। আর অষ্টম তলায় স্টাফ রুম ও নামাজঘর ছিল।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের আটতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া ভবনটির অন্যান্য তলায়ও ছিল অনেকগুলো খাবারের দোকান। সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে নারী ও শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
- বিষয় :
- বেইলি রোডে আগুন
- কাচ্চি ভাই
- রিমান্ড