ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

গতির খেলায় তারুণ্যের অপচয়

গতির খেলায় তারুণ্যের অপচয়

প্রতীকী ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২২:০৯

ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা যে হারে বৃদ্ধি পাইয়াছে, উহা উদ্বেগজনক হইলেও বিস্ময়কর নহে। স্বাভাবিক সময়েই সড়ক দুর্ঘটনার বড় অংশ জুড়িয়া থাকে মোটরসাইকেল। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা সড়কে বাইকার তথা মোটরসাইকেল চালকদিগের বেপরোয়া আচরণের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ২৫ শতাংশই ঘটে মোটরসাইকেলে এবং প্রাণহানির প্রায় ৩০ শতাংশই ঘটে দ্বিচক্রের এই ছোট যানে। পরিসংখ্যান বলিতেছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের অধিকাংশই কিশোর ও তরুণ। ঈদের ছুটিতে বিশেষত বীরত্ব প্রকাশে তাহারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হইয়াছে। শুক্রবার সমকাল অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হইয়াছে, অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তথা পঙ্গু হাসপাতালে ঈদ ও পরদিন মিলিয়া দুই দিনে চিকিৎসা লইয়াছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রায় ৪০০ জন। তন্মধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। অপর সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ঈদের ছুটিতে সমগ্র দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটিয়াছে। 

সাম্প্রতিক বৎসরগুলিতে দেশে মোটরসাইকেলের চাহিদা বিস্ময়কর। হিসাব অনুসারে এখন নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৭০ শতাংশই মোটরসাইকেল; প্রতিদিন গড়ে নূতন করিয়া সাড়ে ৯০০ নিবন্ধিত হইতেছে। নিবন্ধনের বাহিরেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মোটরসাইকেল রহিয়াছে। অভিযোগ, বাইকার অনেকেই ট্রাফিক আইন সম্বন্ধে জ্ঞাত নন অথবা তাহা মান্যতায় লওয়া উহাদিগের নিকট জরুরি নহে। অপর দিকে, উহাদিগকে নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হইতেছে না। তদুপরি ঈদের সময় অনেকেই মোটরসাইকেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়া থাকেন, বিশেষত ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনার কারণ বলিয়া বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়াছে।

তরুণ প্রজন্ম যে কোনো দেশের অমূল্য সম্পদ। সড়ক দুর্ঘটনায় তারুণ্যের এহেন অপচয় মানিয়া লওয়া যায় না। তাই উঠতি বয়সের সন্তানের হস্তে মোটরসাইকেলের চাবি তুলিয়া দিবার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্কতা যদ্রূপ জরুরি, তদ্রূপ ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট পরিধানসহ সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক আইন মানিয়া চলিতে তাহাদিগকে বাধ্য করিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের সক্রিয়তাও কাম্য। 

আরও পড়ুন

×