ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সেমিনারে বক্তারা

শিক্ষার্থীদের কারিগরি দক্ষতা অর্জনে প্রণোদনা দিতে হবে

শিক্ষার্থীদের কারিগরি দক্ষতা অর্জনে প্রণোদনা দিতে হবে

ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬:৫২

এদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে, এজন্য তাদের প্রণোদনা দিতে হবে। প্রতি বছর বিভিন্ন পেশায় কতজন মানুষ প্রয়োজন তার একটি তালিকা দিতে পারলে শিক্ষার্থীরা কোন বিষয় নিয়ে পড়বে, সে বিষয়ে নিজের মেধা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাহলে তারা তাদের জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে। একইসঙ্গে আমাদের সীমিত সম্পদের যথাযথ বিনিয়োগ প্রয়োজন।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে সোমবার সকালে রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘কারিগরিকারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ভিশন ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর আয়োজন করে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশের (আইডিবি) সভাপতি একেএমএ হামিদ এবং ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম শামসুন নাহার বলেন, বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষিত হয়েও বেকার বসে আছে। তাদের চাকরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারা কী করে খাবে? তাদের যেন কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়, এ কারণেই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে। আমাদের অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। কারণ এদেশে কাজ করার সুযোগ কম। এসব শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছেন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, এদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার খুবই প্রয়োজন। কেন না অনেকে অনেক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করলেও সুযোগের অভাবে তারা তাদের জ্ঞানটা কাজে লাগাতে পারেন না। এটা দেশের জন্য একটা ব্যর্থতা। এদিক দিয়ে কারিগরি শিক্ষাকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

মূল প্রবন্ধে আজিজ তাহের খান কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট বৃদ্ধির হার ও নীতিমালা সম্পর্কে আলোকপাত করে। এছাড়া তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভূমিকা ও উদ্যোগ তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, কারিগরি সেক্টরের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ‘এনরোলমেন্ট’ বৃদ্ধি। ২০২২ সালে শিক্ষার্থীদের এনরোলমেন্ট শতকরা ১৮ ভাগ। তবে এটা সঠিক চিত্র নয়। কেননা এনরোলমেন্ট বলতে আমরা কী বুঝি, তা এখনও সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এছাড়া আমাদের শিক্ষক সংকট রয়েছে। কেননা শিক্ষক নিয়োগে তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়। এই সময়টা কমিয়ে আনতে হবে। এটা করা সম্ভব হলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে উৎসাহিত হবে।

আরও পড়ুন

×