ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

শিল্পী অনুপ্রাণিত হয় তার স্বীকৃতিতে : ফেরদৌস আরা

শিল্পী অনুপ্রাণিত হয় তার স্বীকৃতিতে : ফেরদৌস আরা

ফেরদৌস আরা

এমদাদুল হক মিলটন

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২০ | ০১:২৩ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ | ০১:২৪

ফেরদৌস আরা। কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'সুর সপ্তক'-এর প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ। আজ সুর সপ্তকের দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

সুর সপ্তকের দুই দশক পূর্তির আয়োজন কীভাবে সাজানো হয়েছে?

বর্ণিল আয়োজন থাকছে অনুষ্ঠানমালায়। এতে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে গুণী শিল্পী ফেরদৌসী রহমানকে। এ ছাড়া আজাদ রহমান, শেখ সাদী খান, সৈয়দ আব্দুল হাদী, সুজেয় শ্যাম উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেবেন। কয়েকজন প্রয়াত সংগীতশিল্পীর শিল্পী সন্তানকেও দেওয়া হবে সম্মান। তরুণ প্রজন্মের দু'জন সংগীতশিল্পীকে স্মারক সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ভারত থেকে আমন্ত্রিত শিল্পী ও বাদকদের জন্যও থাকছে সম্মাননা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে হাজারো শিক্ষার্থী সংগীতের পাট চুকিয়ে দেশ-বিদেশে গান করছেন। তাদের অংশগ্রহণে থাকছে পরিবেশনা। কবি নজরুলের ওপর নির্মিত একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মৌসুমী। তাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

তিন প্রজন্মের শিল্পীদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে ...

সংগীতকে অনেক দূরের পথে নিয়ে যেতে হলে তরুণ প্রজন্মের হাতে সংগীতের মশাল তুলে দিতে হয়। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা সম্মাননা প্রদানের ক্ষেত্রেও তাই তিন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখেছি। একজন শিল্পী অনুপ্রাণিত হয় তার স্বীকৃতিতে। নজরুল সবসময়ই তরুণদের কথা বলতেন। তারুণ্যের মাঝেই বেঁচে থাকতে হয়।

যে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল, তা কতটা পূরণ হয়েছে?

প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে। আমি অনেক স্বপ্ন নিয়ে এর যাত্রা শুরু করেছিলাম। এটা এখন অনেক বড় পরিবার। বাংলাদেশে নজরুলসংগীতের যত নামিদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে আমার প্রতিষ্ঠানটি কী নাম কুড়ালো এটি নিয়ে কখনোই ভাবিনি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কতটা ভালো করে গাইতে পারছে, এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওদের সাফল্যই আমার প্রতিষ্ঠানের সাফল্য।

পাঁচ দশকের সংগীত ক্যারিয়ার আপনার। পেছনে ফিরে তাকালে দীর্ঘ সময় কেমন মনে হয়?

গানে গানে কখন যে পাঁচ দশক পেরিয়ে এসেছি বুঝতেই পারিনি। সময়ের হিসাব কষতে গিয়ে তাই অবাক হয়ে যাই। সত্যি, এক একটা স্বর্ণালি সময় পার করেছি। সবচেয়ে যা ভালো লাগার, তা হলো, গান গেয়ে অগণিত মানুষের ভালোবাসা পাওয়া। শ্রোতাদের এই ভালোবাসাই আমাকে এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার সাহস জুগিয়েছে।

আরও পড়ুন

×