দর্শক কী চায়, তা আমি ভালো করেই জানি: রোজিনা

রোজিনা
এমদাদুল হক মিলটন
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ | ০৮:৪৩
রোজিনা। নন্দিত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও প্রযোজক। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ফিরে দেখা’। পরিচালনা নিয়ে ভাবনা, অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
দর্শকের পাশে বসে নিজের পরিচালিত সিনেমা দেখার অনুভূতি কেমন ছিল?
এই অনুভূতি কোনোভাবেই বলে বোঝানো যাবে না। সিনেমাটি মুক্তির দিন যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দেখেছি। খেয়াল করেছি, অনেকে মুগ্ধ হয়ে সিনেমাটি দেখছেন। নিজ হাতে বানানো সিনেমা পর্দায় বসে দেখতে পাচ্ছি, দর্শক সেই সিনেমা নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন, কেউ কেউ তালি দিয়েছেন, অনেকের চোখ ছিল ছলছল– এই দৃশ্য কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। আমার খুবই আগ্রহ, সিনেমা দেখার পর দর্শকের কী প্রতিক্রিয়া হয়– তা জানার। এ কারণে ব্লকবাস্টার সিনেমাস থেকে বেরিয়ে চিত্রামহলসহ কয়েকটি হলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি।
সব মিলিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন বলে মনে হয়েছে?
সিনেমাটি মাত্র মুক্তি পেয়েছে, তাই সব শ্রেণির দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন– তা জানার সুযোগ হয়নি। আরও কিছুদিন পর হয়তো স্পষ্ট হবে তাদের ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়টি।
অনুদানের এ সিনেমা দর্শকের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করবে বলে আপনার মনে হয়?
আগে নাটক, টেলিছবি পরিচালনা করেছি। দর্শক কী চায়– তা ভালোই জানি। সেভাবেই সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। কাহিনি ও নির্মাণে নতুনত্ব তুলে ধরার চেষ্টা ছিল। একই সঙ্গে আমরা যারা শিল্পী ও অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, সবারই চেষ্টা ছিল নিজেদের সেরাটি তুলে ধরার। কারণ, শুরু থেকে একটা কথাই আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে, তা হলো দর্শকই সিনেমার প্রাণ। তাঁদের আনন্দ দিতেই আমাদের এত শ্রম-ঘাম ঝরানো প্রচেষ্টা। এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা। এ ধরনের সিনেমা দর্শক পছন্দ করেন। আশা করছি, তাঁরা সিনেমা দেখে নিরাশ হবেন না।
পরিচালনায় অভিষেক হলো, এখন নিশ্চয় বড় পর্দায় নিয়মিত কাজ করতে দেখা যাবে?
আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। দর্শক চাইলে তো আর বসে থাকার উপায় নেই। তাঁদের ভালোবাসা পেলে সিনেমায় নিয়মিত কাজ করব। সবকিছুই নির্ভর করছে দর্শকের ওপর। প্রথম সিনেমায় যা দেখাতে পারিনি, তা পরবর্তী সিনেমাগুলোয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। নির্মাতা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব। আপাতত এটাই আমার ভাবনা। ভবিষ্যতে আরও ভালো গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।
নির্মাণের পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেছেন। কাজটা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
পরিচালনা ও অভিনয় একসঙ্গে করা সহজই মনে হয়। যখন যে কাজটি করেছি, তাতে ছিল পূর্ণ মনোযোগ। এখন কারিগরি দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আগে মনিটর ছিল না। তখন কাজটি অনেক কঠিন ছিল। এখন অভিনয় বা পরিচালনায় ভুল হলে দেখে ঠিক করা যায়। সহকর্মীদের কাছ থেকে বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। এ কারণে দুটো কাজ একসঙ্গে করতে বেগ পেতে হয়নি।
‘এখনই সময়’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করার কথা বলেছিলেন...
সিনেমার চিত্রনাট্য করেছি। এটি যৌতুকবিরোধী গল্প। ছটকু আহমেদের চিত্রনাট্যে এতে থাকবে সামাজিক বক্তব্য। এখনও সিনেমাটি নিয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তবেই জানাব।