প্রতারণা করেছে প্রেমিক, বিয়ের পরই প্রাক্তনকে নিয়ে বিস্ফোরক সোহিনী

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪ | ১৩:৪৫
টলিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার গত ১৫ জুলাই গায়ক শোভনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। এর আগে তাঁর সম্পর্ক ছিল অভিনেতা রণজয়ের সঙ্গে। এবার প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে বিস্ফোরক নববধূ। বছর দুয়েক আগে সোহিনী ও রণজয়ের সম্পর্ক ছেদের খবর চাউর হয়। মাস কয়েক পরে সোহিনীর জীবনে শোভনের প্রবেশ। বছর ঘুরতেই বিয়ে সেরেছেন তারা।
একটা সময় রণজয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন সোহিনী। কিন্তু কী এমন ঘটল যে সম্পর্কটা কাচের ঘরের মতো ভেঙে গেল! সোহিনী-শোভনের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বরাবর ‘উদার’ রণজয়। বলেছেন, ‘সোহিনী যেখানেই থাকুক, যার সঙ্গেই থাকুক, ও যেন সব সময় সুখী থাকে।’ কিন্তু সত্যি কি সোহিনীর সুখ চেয়েছেন তিনি?
সোহিনীর বিয়ের পর অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তাল টলিপাড়া। যেখানে ‘প্রাক্তন প্রেমিক থেকে সাবধান’—এমন সতর্কবার্তা দেন সায়ন্তনী। সেই পোস্টে সোহিনীর ‘লাভ-রিঅ্যাক্ট’ স্পষ্ট করেছিল অনেককিছুই। কিন্তু ফের সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তনীকে একহাত নেন রণজয়। এরপরেই প্রাক্তনকে নিয়ে বিস্ফোরক সোহিনী।
ভারতীয় টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চাঁচাছোলা ভাষায় রণজয়কে আক্রমণ করে সোহিনী বলেন, ‘কেউ উঁচুতে উঠলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবে, সেটা স্বাভাবিক। সমস্যাটা হল যখন রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষেরা ভাল চাই দেখানোর নাম করে লাগাতার সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভাল যদি সত্যি চেয়ে থাকে তবে সে তো আমায় ব্যক্তিগতভাবে সেই ভালো চাওয়াটা ব্যক্ত করবে।’
পুরোটাই 'লোক দেখানো' স্পষ্ট বিশ্বাস সোহিনীর। তিনি আরও বলেন, সায়ন্তনী-রণজয়ের প্রেমের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। তাই সায়ন্তনী ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন, সেগুলো তিনি অস্বীকার করতে পারবেন না। কারণ একই ঘটনার ভুক্তভোগী তিনি। শুধু সায়ন্তনী নয়, রণজয়ের অপর প্রাক্তন প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের কথাও টেনে আনেন সোহিনী। প্রিয়াঙ্কাও পেশায় মডলে-অভিনেত্রী। তিনিও সায়ন্তনীকে সমর্থন জানান ফেসবুক পোস্টে।
শোভনকে বিয়ের পর ট্রোলের মুখে পড়েছেন সোহিনী। তবে সোহিনীর দাবি রণজয় একপ্রকার প্রতারণা করেছেন তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ধরা যাক আপনার প্রেমিক কিছু করেন না, দু’বছর ধরে তিনি বসে। সে সময় আপনি তাঁর পাশে আছেন এই ভেবে যে নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে। সমবয়সী, মেয়েটি আগে কাজ পেয়েছে, ছেলেটির হয়তো কিছু দিন সময় লাগবে! অবশেষে ছেলেটি চাকরি পেল, আর ঠিক সেই সময়ই কেন ব্রেক-আপ হলো?’
সোহিনী জানান, ২০২০ সালে রণজয়ের হাতে কাজ ছিল না। ২০২১-ও টানা ঘরে বসেছিল সে। এরপর ২০২২ সালে ‘গুড্ডি’ হাতে আসে রণজয়ের। এদিন তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘হয়তো শিগগিরি বিয়েও করতাম আমরা, রণজয় কাজ পেয়েছে, আমার হাতে কাজ রয়েছে, কোনও অসুবিধেই আর নেই… তবু ব্রেক-আপটা কিন্তু হলো..।’’
কী ঘটেছিল আসলে, সে প্রশ্নে সোহিনী শুধু বললেন, ‘সম্পর্ক ভাঙতে কেউই চায় না,পরিস্থিতি বাধ্য করে’।
- বিষয় :
- সোহিনী সরকার