ভিন্নভাবে জামদানি পরা নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন জয়া

জয়া আহসান। ফেসবুক থেকে ছবি সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬:৩৫ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯:২৩
ভারতের ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সেই ছবি ঘিরে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কারণ, জয়া জামদানি শাড়িতে ধরা দিলেও তা পরার ধরনটি ছিলো একেবারেই আলাদা। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনাও কম হচ্ছে না।
অনেকেই জামদানির এমন উপস্থাপনা পছন্দ করেননি। যেটি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিতর্ক চলছে। অনেকেই বলছে, জামদানির ১২টা বাজিয়েছেন জয়া! সেটাও কানে গেছে জয়ার। তবে চলমান সমালোচনাকে তিনি গায়েই মাখছেন না, বরং ভবিষ্যতে জামদানি নিয়ে আরও বেশি বেশি ফিউশন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তিনি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি দেখেছি অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারবো না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়? আমরা যত ফিউশন করবো ততো বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারবো। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি।
জয়ার কথায়, ১ ডিসেম্বর আমি যখন মঞ্চের পেছনে বসেছিলাম, সবাই আমাকে দেখে প্রশংসা করেছে। ‘কাড়াক সিং’-এর সহকর্মীরা আলাদা আলাদা করে আমার হাত, চুল, গয়নার ছবি তুলছিলো। এমনকি ‘হীরামান্ডি’র একজন অভিনেত্রীও পুরস্কার দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, ‘তোমার জামদানিটা এত সুন্দর। আমি কি এটা একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?’ উনি জামদানির টেকচার ছুঁয়ে দেখছিলেন। আমার কাঁথার জ্যাকেটটা ধরে দেখছিলেন। এসবই তো আসলে ভালোলাগার বিষয়।
জয়া বলেন, আমি মনে করি জামদানি, মসলিন এমনকি আমাদের গামছাকেও একবার ব্যবহার করে ঘরবন্দী করে না রেখে যত বেশি ফিউশন করে পরতে পারি, বিশ্বে ততোই এর চাহিদা বাড়বে।